সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক উড়োজাহাজ ভূপাতিত
সিরিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধে সরকারপক্ষের হয়ে অংশ নেওয়া রাশিয়ার একটি সামরিক উড়োজাহাজ ১৫ সেনাসদস্য নিয়ে ভূপাতিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার লাটাকিয়া অঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় সিরীয় সেনারা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লে ভুলবশত রাশিয়ার উড়োজাহাজটি ভূপাতিত হয় বলে জানিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এ ঘটনার জন্য তারা ইসরায়েলকে দায়ী করেছে।
আজ বুধবার বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা যায়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে ভূমধ্যসাগরের ওপর উড্ডয়নরত অবস্থায় ‘রাশিয়ান আইএল-২০’ উড়োজাহাজটির সঙ্গে রাডারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সিরিয়া উপকূল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করা উড়োজাহাজটি সে সময় লাটাকিয়ায় রাশিয়ার হিমিয়েমেম বিমানঘাঁটিতে ফিরে আসছিল।
একই সময় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চারটি এফ-১৬ জেট উড়োজাহাজ ওই এলাকায় সিরীয় বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। সে সময় ইসরায়েল রাশিয়ার বিমানটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বলে দাবি রাশিয়ার।
এক বিবৃতিতে রাশিয়া জানায়, ইসরায়েলের দায়িত্বহীন আচরণের ফলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আক্রমণের আগে রাশিয়ার উড়োজাহাজটিকে ওই এলাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য এক মিনিটেরও কম সময় দেওয়া হয়, যার ভেতর উড়োজাহাজটি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
ইসরায়েলি উড়োজাহাজ ইচ্ছাকৃত ওই বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র, ইসরায়েলি পাইলটকে রাশিয়ার উড়োজাহাজটিকে ‘লাইন অব ফায়ারে’ (গোলাগুলির সীমানা) ফেলে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য দোষারোপ করেন।
রাশিয়া-ইসরায়েলের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, তার মধ্যে এ ধরনের ঘটনা কাঙ্ক্ষিত নয় উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে রাশিয়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে।
এদিকে ইসরায়েল রাশিয়ার এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।
২০১৫ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের অনুরোধে রাশিয়া দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধে সামরিকভাবে অংশ নেয়। সাত বছর ধরে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।