পর্তুগিজ উপকূলে ৪০০ বছরের পুরোনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ
পর্তুগালের উপকূলবর্তী শহরের জলসীমায় ৪০০ বছরের পুরোনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ভারতের সঙ্গে পর্তুগিজ নাবিক ও ব্যবসায়ীদের যে সময় মসলা-বাণিজ্য চলত, জাহাজটি সেই আমলের বলে দাবি প্রত্নতত্ত্ববিদদের।
আজ মঙ্গলবার বিবিসি জানায়, রাজধানী লিসবনের নিকটবর্তী উপকূলীয় শহর কাস্কাইসে পাওয়া জাহাজটির চারপাশে মসলা, সিরামিকস ও পর্তুগালের স্মারকখচিত কামান পড়ে ছিল।
আবিষ্কারক দলটির বিশ্বাস, ভারতফেরত জাহাজটি ১৫৭৫ থেকে ১৬২৫ সালের মধ্যে কোনো একসময় ডুবে যায়। ওই সময়টি ছিল এশিয়ার সঙ্গে পর্তুগালের মসলা-বাণিজ্যের চূড়ান্ত উত্থানকাল।
প্রকল্পের প্রধান জর্জ ফ্রায়ার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, জাহাজটি ১২ মিটার (৪০ ফুট) পানির গভীরে খুব ভালো অবস্থাতেই ছিল। ‘দশকব্যাপী প্রচেষ্টার ভেতর দিয়ে উদ্ধার করা এই জাহাজ ঐতিহ্যগত দিক থেকে আমাদের জন্য সর্বকালের সেরা আবিষ্কার,’ বলেন ফ্রায়ার।
ষোড়শ শতকের শেষ ও সপ্তদশ শতকের শুরুর দিকের চীনা পোর্সেলিন, ব্রোঞ্জের অস্ত্রশস্ত্রের টুকরো ও সে সময় দাস ব্যবসায় অর্থ হিসেবে লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত মূল্যবান ঝিনুকের খোলও (কাওরি শেল) জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের মধ্যে পাওয়া যায়।
কাস্কাইস পৌর পরিষদ জানায়, শহর থেকে লিসবন পেরিয়ে যাওয়া ‘তাগুস’ নদীর মুখ খননের সময় চলতি মাসের শুরুতে প্রথম জাহাজটির অবস্থান বোঝা যায়।
শহরের মেয়র কার্লোস কেরেইরাস ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘এটি একটি অসাধারণ আবিষ্কার, যা কি না আমাদের যৌথ পরিচয় ও মূল্যবোধকে আরো শক্তিশালী করবে।’
দশকব্যাপী এই প্রকল্প পর্তুগিজ নৌবাহিনী, কাস্কাইস নগর কর্তৃপক্ষ ও লিসবনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ইউনিভার্সিটি অব নোভা’র যৌথ সহায়তায় পরিচালিত হয়।
দেশটির সংস্কৃতিমন্ত্রী লুইস মেন্ডিস বলেন, ‘তাগুস নদীর মুখটিকে বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। এ আবিষ্কার সেই ধারণাকে সত্য প্রমাণ করল।’