সিরিয়ায় সংঘর্ষ এড়াল রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান
সিরিয়ায় চলমান আইএসবিরোধী লড়াইয়ে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গতিমুখ পরিবর্তন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক দুটি বিমান। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস এ কথা জানান। গত মাসে সিরিয়ায় রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রথম এ ধরনের ঘটনা ঘটল।
এফ-১৬ মডেলের বিমান দুটি তুরস্কের ইনজিরলিক বিমান ঘাঁটি থেকে পরিচালিত হচ্ছে। মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ সিএনএনকে জানান, বিমান দুটি সিরিয়ার রাক্কা অঞ্চলে আইএসের ঘাঁটির দিকে যাচ্ছিল। গতিমুখ পরিবর্তন করার ফলে মিশন সফল করতে পারেনি বিমান দুটি।
ওই কর্মকর্তা জানান, সিরিয়ার আকাশসীমায় ২০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে রাশিয়ার বিমান এলে যুক্তরাষ্ট্রের পাইলটদের গতিমুখ পরিবর্তন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেফ ডেভিস জানান, গত কয়েকদিনে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বেশি কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
পেন্টাগনের মুখপাত্র বলেন, ‘বিমানগুলো যেন পরস্পরের খুব কাছে চলে না আসে সেজন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।’ এ ধরনের ঘটনায় একটিই ঘটেছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া দুই যুদ্ধবিমানের মধ্যে যোগাযোগ হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।
সাম্প্রতিক এ ঘটনায় রাশিয়ার বিমান ২০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে চলে এসেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিয়ম করা হয়েছে কারণ রাশিয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো চুক্তি নেই। বস্তুত, এ বিষয়ে প্রথমবার বৈঠকের কয়েকদিন পরই এটা ঘটল। এই চুক্তি ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পাইলটরা রাশিয়ার লোকজনকে বিশ্বাস করতে পারছে না।
পেন্টাগনের কর্মকর্তা বলেন, নতুন নিয়ম করা হয়েছে পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য। কারণ এর আগে রাশিয়ার পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানের গতিরোধ করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন কারবি বলেন, রাশিয়ার পরিচালিত ৯০ শতাংশ হামলা আইএস বা আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট কারো ওপর করা হয়নি।
এদিকে, স্থানীয় সময় বুধবার কাস্পিয়ান সাগরে অবস্থান নেওয়া রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ থেকে আইএসের ১১টি লক্ষ্যবস্তু বা ঘাঁটিতে ২৬টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু জানান, দূরপাল্লার এসব ক্ষেপণাস্ত্র এক হাজার ৫০০ কিলোমিটার আকাশপথ পাড়ি দিয়ে আইএসের ওপর আঘাত হানে। এ জন্য ইরান ও ইরাকের আকাশসীমা ব্যবহার করতে হচ্ছে মস্কোকে।