শান্তিতে নোবেল পেল তিউনিসিয়ার সংগঠন
শান্তিতে নোবেল-২০১৫ পেয়েছে তিউনিসিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করা সংগঠন ‘তিউনিসিয়ান ন্যাশনাল ডায়ালগ কোয়ার্টেট’। আজ স্থানীয় সময় সকালে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার পর) নরওয়ের অসলোর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এক ঘোষণায় নোবেল পুরস্কারের কথা ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটির সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১১ সালে তিউনিসিয়ায় জেসমিন বিপ্লবের পর দেশটিতে বহুত্ববাদী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে তিউনিসিয়ান ন্যাশনাল ডায়ালগ কোয়ার্টেট। এ ছাড়া দেশটির জনগণের মানবাধিকার নিশ্চিত করতেও সংগঠনটি বড় ভূমিকা রেখেছে। এ কারণেই বিশেষ সংগঠনটিকে ২০১৫ সালের নোবেল পুরস্কারে জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।
নোবেল কমিটির সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজনৈতিক গুপ্তহত্যা বৃদ্ধি এবং বিস্তৃত সামাজিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়লে ২০১৩ সালের গ্রীষ্মে তিউনিসায় দ্য কোয়ার্টেট গঠন করা হয়। গৃহযুদ্ধের হুমকিতে থাকা দেশটিতে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই ছিল তিউনিসিয়ান ন্যাশনাল ডায়ালগ কোয়ার্টেট। কয়েক বছরের মধ্যেই তিউনিসিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ধর্ম-বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষ সরবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সমর্থ হয় ওই সংগঠন।
তিউনিসিয়ান জেনারেল লেবার ইউনিয়ন, তিউনিশিয়ান কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি, ট্রেড অ্যান্ড হ্যান্ডিক্রাফট, দ্য তিউনিসিয়ান হিউম্যান রাইটস লিগ এবং তিউনিসিয়ান অর্ডার অব লয়াইরস- এই চারটি সগঠন নিয়ে গঠিত হয় ‘তিউনিসিয়ান ন্যাশনাল ডায়ালগ কোয়ার্টেট’। ওই সংগঠনগুলো তিউনিশিয়ার সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। পরে তিউনিশিয়ান ন্যাশনাল কোয়ার্টেট তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক স্থিথিশীলতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রাখে।
২০১০-১১ সালে তিউনিসিয়ায় বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আরব বসন্ত শুরু হয়। পরে এই আন্দোলন উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এসব দেশের কয়েকটিতে এখনো গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকারের জন্য এখনো আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে। তবে তিউনিসিয়ায় গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অনেকটাই সফল হয়েছে। নোবেল কমিটি মনে করে, তিউনিসিয়ায় মডেল অনুসরণ করে পৃথিবীর অনেক দেশই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হতে পারে।
সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীকে চলতি বছর ৮০ লাখ ক্রোনার (নয় লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার) দেওয়া হবে।
গত বছর যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পান পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনের কর্মী মালালা ইউসুফজাই এবং ভারতের বঞ্চিত শিশুদের অধিকারকর্মী কৈলাস সত্যার্থী। এর আগে ২০০৯ সালে শান্তিতে নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।