কিম-ট্রাম্প বৈঠকের আগে উ. কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূত
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে কিম জং-উন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন দ্বিতীয় বৈঠকের আগে আলোচনা প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পিয়ংইয়ং পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিফেন বিয়েগান।
আজ বুধবার বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা যায়।
চলতি মাসের ২৭ তারিখ ভিয়েতনামে দ্বিতীয়বারের মতো কিম জং-উনের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ঘোষণা আসার পরপরই উত্তর কোরিয়া পৌঁছালেন বিয়েগান।
কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি স্থাপন নিশ্চিত করতে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সে বিষয়ে এবারের বৈঠকে সুস্পষ্ট আলোচনা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত বছরের জুনে ট্রাম্প ও কিমের প্রথম বৈঠকে নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে দুই দেশের নেতা একমত হলেও সুস্পষ্ট কোনো প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়নি। ওই বৈঠকে অস্পষ্ট আলোচনার জন্য নিজ দেশে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন ট্রাম্প।
বিয়েগান জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া সফরের মধ্য দিয়ে তিনি ট্রাম্প ও কিমের আসন্ন বৈঠকে কিছু সুস্পষ্ট আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র বিভাগ জানিয়েছে, ট্রাম্প ও কিমের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির বিষয়গুলো এগিয়ে নিতে বিয়েগানের এ সফর সহায়ক হবে।
যুক্তরাষ্ট্র চায়, উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের আওতায় নিজেদের সব পরমাণু অস্ত্র ধ্বংসের ব্যাপারে সম্মত হোক। যদিও উত্তর কোরিয়া কখনো এমন কিছু বলেনি।
গত সপ্তাহে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে দেওয়া এক বক্তব্যে বিয়েগান বলেন, যত দিন উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত না হয়, ততদিন দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে না। যদিও অন্য অনেক উপায়ে দেশটিকে সহায়তা দেওয়া যেতে পারে। বিয়েগান বলেন, ‘আমরা কখনোই বলিনি তুমি সম্পূর্ণটা করার আগে আমরা কিছুই করব না।’
এদিকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের অঙ্গীকার দিলেও উত্তর কোরিয়া এরই মধ্যে নিজেদের পরমাণু প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা। শুধু তাই নয়, দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও মানা হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে। দেশটি গোপনে সমুদ্রপথে নিষিদ্ধ মালামাল আনা-নেওয়া করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।