গার্ডিয়ানকে স্ত্রীর অভিযোগ
জঙ্গি সন্দেহে আটক ব্রিটিশ যুবক ন্যায়বিচার পাবেন না
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল কায়েদাকে জিহাদি তথ্য সরবরাহের অভিযোগে বাংলাদেশে আটক ব্রিটিশ নাগরিক সামিউন রহমান ন্যায়বিচার পাবেন না বলে অভিযোগ তাঁর স্ত্রী ফাতিমা রহমানের।
যুক্তরাজ্যের দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের কাছে এ অভিযোগ করেন উত্তর লন্ডনের বাসিন্দা ফাতিমা ।
ফাতেমার ভাষ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে আসার মিথ্যা অভিযোগে তাঁর স্বামীকে আটক করা হয়। এরপর থেকে সামিউনের সঙ্গে দেখা করা কিংবা কথা বলার কোনো সুযোগ পাননি তিনি।
ফাতিমা গার্ডিয়ানকে অভিযোগ করে বলেন, আটকের পর সামিউনকে নির্যাতন করা হয়। এমনকি তাঁর (সামিউন) নিরাপত্তায় কারা কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, এক বছরের বেশি সময় হলেও ক্যাবচালক সামিউনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তাঁর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করা কিংবা চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগের কোনো সুযোগ নেই। দোষী সাব্যস্ত হলে মৃত্যুদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাঁকে।
এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে ফাতিমা গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘আমরা জানি না, সে কি অবস্থায় আছে।’ তিনি বলেন, সামিউনের জামিন বাতিল করা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
ফাতিমা আরো বলেন, ‘আমি এক মিনিটের জন্যও বিশ্বাস করতে চাই না, সে (সামিউন) ন্যায়বিচার পাবে। এমনকি সে একজন ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার পরও কোনো কাজ হচ্ছে না। ... সহিংসপন্থা কিংবা সহিংস লোকজনের প্রতি সামিউনের কোনো সংযোগ নেই। এসব সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র থাকার বিষয়টি অদ্ভুত শোনায়।’
সামিউনের আইনজীবী এইচ এম নূরে আলম গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘বহুবার জামিনের আবেদন করা হলেও হাইকোর্ট তা নাকচ করে দিয়েছেন। তাঁর (সামিউন) বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এরপরও গত ১০ মাস ধরে তাঁকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।’
জানতে চাইলে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আটক হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে আমাদের কর্মকর্তারা তাঁকে (সামিউন) সহায়তা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে আছে, সামিউনের ভালোমন্দের খবর নিতে নিয়মিত কারাগার যাওয়া এবং যুক্তরাজ্যে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা।’