৪ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে মারল ইসরায়েল
গাজা সীমান্তে বিক্ষোভরত জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। এতে চার ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভের কয়েক ঘণ্টা পর রোববার মাঝরাতে গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে পাঁচটি রকেট হামলা চালানো হয়। এর জবাবে ইসরায়েল পাল্টা ট্যাঙ্ক হামলা চালায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো গাজার মধ্যাঞ্চলে ও গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলে হামাসের পোস্ট লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
এক বছর আগে গাজা ও ইসরায়েল সীমান্তে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়। গাজার হাজার হাজার বাসিন্দা দিবসটি উপলক্ষে সীমান্তে জড়ো হন। তবে পরে মিসরের মধ্যস্থতায় ব্যাপক রক্তপাতের আশঙ্কা দূর হয়।
গাজা সিটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বিক্ষোভকালে একজন ও শনিবার রাতে সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৭ বছর বয়সী তিন কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৩১৬ গাজার বাসিন্দা আহত হয়েছে। তবে আশঙ্কা করা হলেও ১৪ মের মতো বিক্ষোভ ও ভয়াবহ রক্তপাত হয়নি। ওই সংঘর্ষে ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করার প্রতিবাদে ওই বিক্ষোভ ঘটে।
ইসরায়েলে ৯ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় নির্বাচন সামনে রেখে ইসরায়েল সীমান্তে কয়েক হাজার সৈন্য মোতায়েন করে। সংঘর্ষ ও রক্তপাতের ঘটনা নিবৃত্ত করার জন্য মিসর, ইসরায়েল ও গাজার ইসলামপন্থী হামাসের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালায়।
হামাসের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন। এর আওতায় ইসরায়েল গাজা অবরোধ কিছুটা শিথিল করবে এবং ফিলিস্তিনিরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করবে।
গাজার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সীমান্তের কাছে পাঁচটি বিক্ষোভ পয়েন্টে জমায়েত হয়। তবে অধিকাংশ বিক্ষোভকারীই সীমান্ত বেড়া থেকে দূরে অবস্থান করে। গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলে অল্প কয়েকজন যুবক বেড়ার কাছে যায় এবং সেটিকে কয়েকবার ভাঙতে চেষ্টা করে। কিন্তু ইসরায়েলি সৈন্যরা তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়লে তারা পিছু হটে যায়।
বিক্ষোভকারীরা এ সময় ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মিসরীয় নিরাপত্তা প্রতিনিধিদল, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও ইয়াহইয়া সিনওয়ার গাজার সিটির পূর্বাঞ্চলীয় যে স্থানে বিক্ষোভ সংঘটিত হয়, তা পরিদর্শন করেন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, প্রায় ৪০ হাজার দাঙ্গা পুলিশ ও বিক্ষোভকারী সীমান্ত এলাকায় জড়ো হয়।