ইস্টার সানডের আগেই সতর্ক করেছিলেন শ্রীলঙ্কার পুলিশপ্রধান
পুলিশের কাছে তথ্য ছিল শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত গির্জাগুলোতে আত্মঘাতী বোমা হামলা হতে পারে। ১০ দিন আগেই ওই বিষয়ে সাবধান করেছিলেন খোদ শ্রীলঙ্কান পুলিশপ্রধান পুজুথ জয়াসুন্দরা।
দেশটিতে আজ রোববার রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে তিনটি গির্জা ও তিনটি অভিজাত হোটেলে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ১৫৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে চার শতাধিক। প্রতিমুহূর্তেই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
আজ ছিল খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে। এ দিনই এমন ঘটনা ঘটল।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আজ থেকে ১০ দিন আগে শ্রীলঙ্কার পুলিশপ্রধান পুজুথ জয়াসুন্দরা গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ ১০ কর্মকর্তাকে বিষয়টি নিয়ে সাবধান করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘বিখ্যাত গির্জাগুলো’তে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা হামলার পরিকল্পনা করছে।
ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘একটি বিদেশি গোয়েন্দাসংস্থা জানিয়েছে ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এনটিজে) বিখ্যাত গির্জা এবং কলম্বোতে ভারতীয় হাইকমিশনে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করছে।’
হামলার পর শ্রীলঙ্কার মুসলমানদের সংগঠন এনটিজের দিকেই আঙ্গুল তুলছে। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি কোনো সংগঠন।
শ্রীলঙ্কার পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টার দিকে ইস্টার সানডের প্রার্থনার সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।’
জানা যায়, কলম্বোর কোচ্চিকাড়ের অ্যান্টলি গির্জা ও কাতুয়াপিতিয়ার সেন্ট সিবেস্টিয়ান গির্জাসহ একাধিক জায়গায় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সাংরি লা, সিনামন গ্র্যান্ডের মতো পাঁচ তারকা বিলাসবহুল হোটেলেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত দেশটির মাত্র ছয় শতাংশ ক্যাথলিক খ্রিস্টান। ইস্টার সানডের প্রার্থনার জন্য খ্রিস্টানরা গির্জাগুলোতে জড়ো হচ্ছিলেন। ওই সময়ই বিস্ফোরণগুলো ঘটে।