‘হামলাকারীদের অনেকেই শিক্ষিত, আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ’
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারীদের অনেকেই শিক্ষিত এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আর্থিকভাবেও স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল তারা।’
আজ বুধবার সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ইস্টার সানডেতে শ্রীলঙ্কায় আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের একজন যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করত বলে দাবি করছে দেশটির সরকার। গত রোববার কলম্বোসহ একাধিক এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একাধিক গির্জা ও হোটেলে এসব বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দাবি করেন, আত্মঘাতী বোমারুদের একজন যুক্তরাজ্যে পড়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যায়।
এখন পর্যন্ত ৬০ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি বলেন, ‘এখনো ৩২ জন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তারা প্রত্যকেই শ্রীলঙ্কার নাগরিক।’
এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রুয়ান জয়াবর্ধনে জানান, নয়জন বোমারু এই হামলা চালায়। এর মধ্যে আটজনকে শনাক্ত করা গেছে।
মসলা ব্যবসায়ী এক ধনকুবেরের দুই ছেলে আত্মঘাতী হামলার সঙ্গে জড়িত বলেও দাবি করছে শ্রীলঙ্কার সরকার।
তদন্তকারীরা জানান, দুই ভাই ইলহাম ইব্রাহিম ও ইনসাফ তাদের বাবা ইউনুস ইব্রাহিমের কলম্বোতে মসলা রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল।
ওই হামলায় ওই দুই ভাইয়ের জড়িত থাকার পেছনে বিদেশি প্রভাব রয়েছে বলে জানায় একটি তদন্ত সূত্র। কর্তৃপক্ষ বলছে, দুই ভাই স্থানীয় মুসলিম সংগঠন ন্যাশনাল তৌহিদ জামাতের (এনটিজে) সদস্য।
এদিকে ওই বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
এর আগে প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রুয়ান জয়াবর্ধনে দাবি করেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার প্রতিশোধ নিতে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫৯ জনে।