শ্রীলঙ্কার নেগম্বো শহর ছেড়ে যাচ্ছেন মুসলমানরা
নিরাপত্তাহীনতার কারণে শ্রীলঙ্কার বন্দর নগরী নেগম্বো ছেড়ে যাচ্ছেন সেখানকার মুসলিম বাসিন্দারা। শহরটিতে বসবাসরত পাকিস্তানি মুসলিমদের বেশির ভাগই শরণার্থী। হামলার আতঙ্কে বৃহস্পতিবার ও এর আগের দুই-তিনদিনে কয়েকশ মুসলিম তাদের বাড়িঘর ছেড়েছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে শহরটিতে জাতিগত উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নেগম্বোর বাসিন্দা পাকিস্তানি নাগরিক আদনান আলী বাসে মালামাল তুলতে তুলতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘বোমা হামলার দিনে এই শহরের একটি গির্জায় হামলা হওয়ার কারণে শ্রীলঙ্কার স্থানীয় লোকজন আমাদের অনেকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমরা এখন কোথায় যাব তা জানি না।
তবে স্থানীয় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেরাথ সিসিলা কুমারা জানান, মুসলিমদের নিরাপদ জায়গায় রাখা হবে। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন, কখন তারা আবার এখানে ফিরে আসবেন।
নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের এখন কোথায় নেওয়া হচ্ছে তা জানানো হচ্ছে না বলে জানান ওসি।
ফারাহ জামিল নামের আরেক পাকিস্তানি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িওয়ালা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।
দেশটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। আর তাদের মধ্যে হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিস্টান সংখ্যালঘুও রয়েছে।
গত রোববার ইস্টার সানডের অনুষ্ঠান চলাকালে শ্রীলঙ্কার কলম্বো ও নেগম্বোর তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলে আটটি বোমা হামলায় ৩৫৯ জন নিহত হয়। এতে আহত হয় পাঁচ শতাধিক। এ ঘটনায় শুধু নেগম্বোতেই প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়।
১০ বছর আগে তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর থেকে বেশ শান্তশিষ্ট অবস্থা বিরাজ করছিল শ্রীলঙ্কায়। রোববারের ভয়াবহ এই হামলার মধ্য দিয়ে ফের জাতিগত সংঘাতময় পরিস্থিতি ফিরে আসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।