উগান্ডার নারী জন্ম দিলেন ৪৪ সন্তান, বেঁচে আছে ৩৮ জন
বয়স ৩৬ বছর। এ পর্যন্ত ৪৪টি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। উগান্ডার ওই নারীর নাম মারিয়াম নাবাতানজি। বর্তমানে তাঁর ৩৮ সন্তান বেঁচে আছে এবং তারা সুস্থ রয়েছে। সবাইকেই দেখাশোনা করছেন তিনি।
ছয়বার জমজ, চারবার তিনটি করে এবং তিনবার চারটি করে সন্তান জন্ম দেন মারিয়াম। তাঁর স্বামী গত তিন বছর আগে তাঁকে ছেড়ে চলে যান। দরিদ্র মারিয়াম এতগুলো সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
১২ বছর বয়সে বিয়ে হয় মারিয়ামের। তাঁর স্বামীর বয়স তখন ছিল ৪০। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম মিরর অনলাইন জানায়, বিয়ের এক বছরের মাথায় জমজ সন্তানের মা হন তিনি। জন্মনিয়ন্ত্রণের পরামর্শ পেলেও তাতে শারীরিক ক্ষতির কথা ভেবে অনবরত সন্তান নিতে থাকেন মারিয়াম।
তিন বছর আগে স্বামী তাঁকে ছেড়ে যাওয়ায় পুরো সংসারের দায়ভার পড়েছে মারিয়ামের ওপর। চারপাশে কফিক্ষেত এমন একটি জায়গায় সিমেন্টের দেয়াল ও লোহার পাতের ছাউনিওয়ালা জীর্ণ চারটি ঘরবিশিষ্ট বাড়িতে সব সন্তানকে নিয়ে চরম টানাপড়েনে চলছে তাঁর বিশাল পরিবার।
একদিনে ২৫ কেজি ভুট্টা লাগে সবার ন্যূনতম খাবারের জোগান দিতে। মাছ মাংস তো দূরের কথা, এই ভুট্টার জোগান দিতেই হিমশিম খান মারিয়াম। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি বড়দের মতো দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার মনে হয়, আমি জন্মের পর আনন্দ বলতে কিছু পাইনি।’
সব সন্তানের দেখভালের পাশাপাশি এতগুলো মুখে খাবার তুলে দিতে ব্যাপক পরিশ্রম করতে হয় মারিয়ামকে। চুলকাটা থেকে শুরু করে হাতের কাছে যে কাজই পান তাই করেন তিনি। সবার খোরাকি জোগাড় করতে ২৩ বছর বয়সী পরিবারের বড় ছেলে ইভান কিবুকা স্কুল ছেড়ে দিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন।
উগান্ডায় বড় পরিবারের বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখা হয়, তবে মারিয়ামের বেলায় সেই স্বাভাবিকত্ব মাত্রা ছাড়িয়েছে। ২৩ বছর বয়সেই ২৫ সন্তানের জননী হন তিনি। ওই সময় তিনি চিকিৎসকের দারস্থ হলেও তাঁর প্রজনন ক্ষমতা অত্যাধিক হওয়ায় তাঁকে আরো সন্তান ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে গত আড়াই বছর আগে সর্বশেষ সন্তান হওয়ার সময় কিছুটা জটিলতা দেখা দেয়।