উঠলেন আইফেল টাওয়ারের চূড়ায়, কিন্তু নামতে নারাজ
একজন মানুষের অবাক কাণ্ডে পুরো একটা দিন বন্ধ রাখতে হয়েছে প্যারিসের বিখ্যাত আইফেল টাওয়ার। এমনকি ডিনার ফেলে চলে যেতে হয়েছে দর্শনার্থীদের।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলের দিকে টাওয়ারের নিরাপত্তাকর্মীরা হঠাৎ দেখলেন, কোনো ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই টাওয়ারের দোতলা থেকে বেয়ে ওপরের দিকে উঠছেন এক ব্যক্তি।
অবস্থা বেগতিক দেখে টাওয়ারে অবস্থানরত আড়াই হাজার দর্শনার্থীকে তড়িঘড়ি করে টাওয়ার থেকে সরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
ততক্ষণে ওই ব্যক্তি উঠে গেছেন টাওয়ারের সর্বোচ্চ লেভেলের কাছাকাছি। মাটি থেকে যার উচ্চতা এক হাজার ৬৩ ফুট। সেখানে পৌঁছে ওই ব্যক্তি থেমে যান এবং দাঁড়িয়ে থাকেন।
কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর সোমবার রাতে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের দুটি বিশেষ দল মিলে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ওই ব্যক্তিকে নিচে নামাতে সক্ষম হন।
নিরাপত্তার খাতিরে ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় গোপন রেখেছে প্যারিস পুলিশ।
কিন্তু কঠোর নিরাপত্তা এড়িয়ে কীভাবে তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন, সে বিষয়ে মুখ খোলেনি টাওয়ারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান এসইটিই।
টাওয়ারের ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালেই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে স্থপতি গুস্তাভ আইফেল নির্মিত ১৯ শতকের এই বিখ্যাত স্থাপনাটি। এ ছাড়া রোববার যেসব দর্শনার্থীর টিকেট বাতিল হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে আইফেল টাওয়ারে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৫ সালে নিরাপত্তা ক্যামেরা ফাঁকি দিয়ে কোনো ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা ও অনুমতি ছাড়া টাওয়ারের চূড়ায় ওঠেন জেমস কিংস্টন নামের এক ব্রিটিশ নাগরিক।
তবে এ ঘটনাকে নিছক মজাচ্ছলে করা কিংবা কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে করা হয়েছে এমনটি বলা যাচ্ছে না। কারণ, এর আগে আইফেল টাওয়ার থেকে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে।
প্যারিসের সবচেয়ে উঁচু এই টাওয়ার প্রায় ৮১তলা ভবনের সমান।