সীমান্ত বন্ধ করবে বলকান দেশগুলো
নতুন করে আসা শরণার্থী স্রোত ঠেকাতে ইউরোপের বলকান অঞ্চলের দেশগুলো তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। ব্রাসেলসে বলকান দেশগুলোর সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আসন্ন বৈঠকের আগে এই হুমকি দেয় বলকান দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সংগঠন ‘পিক’।
বুলগেরিয়ার সরকার জানিয়েছে, বলকানের উত্তরে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া যদি তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়, তাহলে সার্বিয়া, রোমানিয়াসহ এই দেশটিও একই ধরনের ব্যবস্থা নেবে। কেননা তারা শরণার্থীদের জন্য নিজেদের দেশকে ‘বাফারজোন’ (নিরাপদ অঞ্চল) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় না।
রয়টার্সের তথ্যমতে, বুলগেরিয়ার পর সার্বিয়া এবং রোমানিয়াও একই ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আর স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোর বলেছেন, ‘দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর দেশ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে চায়।’
শরণার্থীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্যমতে, গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে নয় হাজার মানুষ গ্রিস পৌঁছেছে যা এ বছর সর্বোচ্চ। সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের এসব শরণার্থীর বেশির ভাগের গন্তব্য হচ্ছে জার্মানি। তবে চলতি বছর জার্মানি সব মিলিয়ে আরো আট হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে।
জার্মানিসহ ইইউভুক্ত অন্যান্য দেশে পৌঁছানোর জন্য অভিবাসনপ্রত্যাশীরা স্লোভেনিয়া হয়ে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া যেতে শুরু করেছে। এ সপ্তাহে ৫৮ হাজার শরণার্থী স্লোভেনিয়া পৌঁছেছে। এদের অনেকেই এখনো সীমান্তে শীত ও বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।