আমি হংকংয়ে শয়তানি আইনের বিরুদ্ধে : জশুয়া
জেল থেকে মুক্তি পেয়েই চলমান বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে প্রশাসকের পদত্যাগ দাবি করলেন হংকংয়ের পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্রপন্থী নেতা জশুয়া ওং।
হংকংয়ে ২০১৪ সালে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্রের দাবিতে ৭৯ দিনব্যাপী চলা ‘আমব্রেলা’ আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা জশুয়া ওং আজ সোমবার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বলেন, ‘আমি শয়তানি আইনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেব। আমি বিশ্বাস করি, মিথ্যুক ক্যারি ল্যামের পদত্যাগের সময় হয়েছে।’
তবে ওং এটাও জানান, চলমান সংকটের ব্যাপকতার বিষয়ে বিশদভাবে জানতে হবে তাঁকে। চীন নিয়ন্ত্রিত হংকংয়ে এমন একটা সময়ে প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যযুদ্ধ ও ক্ষয়িষ্ণু অর্থনীতি নিয়ে ঝুঁঝছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বিতর্কিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল স্থায়ীভাবে বাতিল এবং হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যামের পদত্যাগের দাবিতে হংকংয়ে কয়েক লাখ মানুষের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্দোলনের দ্বিতীয় সপ্তাহে আজ সোমবার প্রায় ২০ লাখ মানুষ মিছিল করে হংকং গভর্নর হাউসের কাছে পৌঁছে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে।
হংকংয়ের রাজপথে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, রাবার বুলেটও ব্যবহার করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে আন্দোলন চলাকালে আহত হয়েছেন ৮০ জনের বেশি, যার মধ্যে ২২ পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। এত কিছুর পরও থেমে থাকেননি হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীরা।
প্রবল আন্দোলনের মুখে গতকাল রোববার ক্ষমা চেয়ে বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিলটি আপাতত স্থগিত করার ঘোষণা দেন হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। কিন্তু বিলটি স্থায়ীভাবে বাতিল ও প্রশাসকের পদত্যাগ দাবি করে রোববার সন্ধ্যার পরও মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।