দুই কোরিয়ার সীমান্তে ট্রাম্প-কিমের ‘ঐতিহাসিক’ সাক্ষাৎ
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তৃতীয়বারের মতো সাক্ষাৎ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ রোববার দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী সীমান্তের সেনামুক্ত এলাকায় (ডিমিলিটারাইজড জোন) এ দুই নেতা সাক্ষাৎ করেন।
দেখা হওয়ার শুরুতেই দুই নেতা একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এ সময় প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন তাঁরা।
এর আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে এই বৈঠকের আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। ট্রাম্পের সঙ্গে এই সাক্ষাৎকে ঐতিহাসিক বলেও মন্তব্য করেন কিম।
এর আগে আজ রোববার দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ডিমিলিটারাইজড জোনে এই সাক্ষাৎ হবে বলে নিশ্চিত করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
গত শুক্রবার এক টুইট বার্তায় আকস্মিকভাবে ডিমিলিটারাইজড জোনে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এরপরই তোড়জোড় করে বৈঠকের আয়োজন শুরু হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে ব্যর্থ বৈঠকের পর এবারের দুই নেতার আলোচনায় ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে তিনবার বৈঠকে মিলিত হলেন ট্রাম্প ও কিম জং-উন। প্রথম বৈঠকে পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনো ধরনের সমঝোতা চুক্তি হয়নি।
কিমের সঙ্গে দেখা করার আগে সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখার বিষয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। এ বৈঠকের পরই প্রথমবারের মতো সীমান্তবর্তী ডিমিলিটারাইজড জোন পরিদর্শনে যান ট্রাম্প। জাপানের ওসাকা শহরে অনুষ্ঠিত জি-টোয়েন্টি সম্মেলন শেষে গতকাল শনিবার বিকেলে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল পৌঁছান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।