প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেল ইইউ কমিশন
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কমিশনের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডার লেন।
গতকাল মঙ্গলবার ইইউ সদস্যদের গোপন ব্যালটে অল্প ভোটের ব্যবধানে উরসুলা প্রসিডেন্ট পদে বিজয়ী হন বলে বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
চলতি বছরের ১ নভেম্বর কমিশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জ্য ক্লদ ইউনকার স্থলাভিষিক্ত হবেন উরসুলা ফন ডার লেন।
বিবিসি জানায়, কমিশনের সদস্যদের মোট ৭৪৭ ভোটের মধ্যে উরসুলা পান ৩৮৩ ভোট। চার সদস্য এদিন অনুপস্থিত ছিলেন। অর্ধেকেরও বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি।
কমিশন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই এক বক্তব্যে উরসুলা বলে, ‘আমার প্রতি যে আস্থা আপনারা দেখিয়েছেন, তা সারা ইউরোপের স্বার্থের প্রশ্নে আপনাদের আস্থা। পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণব্যাপী এক সংঘবদ্ধ, শক্তিশালী ইউরোপের প্রতি আস্থা।’
‘এটি এক বিশাল দায়িত্ব। এ মুহূর্ত থেকে আমার কাজ শুরু হলো। আমরা যেন একসঙ্গে গঠনমূলক কাজ করতে পারি,’ বলেন নবনির্বাচিত কমিশন প্রেসিডেন্ট।
সমাজকল্যাণমূলক কাজে আরো বড় পরিসরে ইইউর ভূমিকা নিশ্চিত করা, দারিদ্র্য মোকাবিলা ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেন সাবেক এই নারী চিকিৎসক।
প্রয়োজনে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা আরো বাড়ানোর ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতি দেন উরসুলা। এ ছাড়া জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় ইউরোপের ইতিবাচক ভূমিকা নিশ্চিত করা এবং অনিয়মিত অভিবাসন রোধে সীমান্ত এলাকায় সেনাসংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। একই সঙ্গে অভিবাসন প্রসঙ্গে মানবিক কারণে শরণার্থীদের অধিকার সংরক্ষণের ব্যাপারেও জোর দেন উরসুলা।
আইনের খসড়া প্রস্তুত করা, নিয়মনীতি নির্ধারণসহ প্রয়োজনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশকে জরিমানা করার কাজ করে থাকে ইইউ কমিশন।