‘বিতর্কিত’ সাভেন্দ্র সিলভা শ্রীলঙ্কার নতুন সেনাপ্রধান
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও গতকাল সোমবার সাভেন্দ্র সিলভাকে সেনাপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। ২৬ বছরের গৃহযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের নৃশংসভাবে দমনের অভিযানে নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তা ছিলেন সিলভা।
সরকারের পক্ষ থেকে গোলাগুলিমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হলেও সেখানে হাসপাতালসহ নিরস্ত্র বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। সে সময় এতে নেতৃত্ব দেন ৫৫ বছর বয়সী এই সেনা কর্মকর্তা। এ জন্য তাঁর বিজয় নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ওঠে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট এই নিয়োগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জাতিসংঘ ও ওয়াশিংটন কড়া ভাষায় এই নিয়োগের প্রতিবাদ জানায়। ২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধের শেষ সময়ে সাভেন্দ্র সিলভার সেনা ডিভিশন বন্দিদের ওপর নির্যাতন ও নিরস্ত্র বিদ্রোহীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছে বলে সন্দেহের কথা জানায় জাতিসংঘের মানবাধিকার প্যানেল। ১৯৮৪ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া এই কর্মকর্তা অবশ্য শুরু থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
গত রোববার সাবেক সেনাপ্রধান মহেশ সেনানায়েকের মেয়াদ শেষ হলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাভেন্দ্র সিলভাকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও এই নিয়োগের নিন্দা জানিয়েছেন। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনার কার্যালয় ও সেনা হেডকোয়ার্টারের কাছে সমালোচনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কোনো মন্তব্য পায়নি রয়টার্স।