অবরোধে যেভাবে চলছে হংকং বিমানবন্দর
চীন নিয়ন্ত্রিত হংকংয়ে বিমানবন্দর ও এর সংযোগ সড়কগুলোয় অবরোধ সত্ত্বেও থেমে নেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির উড়োজাহাজের ওঠানামা। কিছুটা বিলম্বে হলেও উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ করছে। গতকাল রোববার হংকং বিমানবন্দরে জড়ো হন গণতন্ত্রপন্থী হাজারো নগরবাসী। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজরে আসতে বেশ কিছুদিন ধরে বিমানবন্দর অবরোধ করে আসছেন আন্দোলনকারীরা।
উড়োজাহাজের ওঠানামা থাকলেও আন্দোলনের মুখে বিমানবন্দর অভিমুখী ট্রেন ও বাস সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। রোববার সারা দিন ব্যাগপত্র হাতে নিয়ে হেঁটে বহু যাত্রীকে বিমানবন্দরে ঢুকতে ও বের হতে দেখা গেছে। দিনে বিক্ষোভ থাকলে রাতের সময়টাতে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণ সংখ্যা বেশি হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা বিমানবন্দর এলাকা থেকে সরে গেলেও টুং চাং শহরের রাজপথগুলো থেকে সরেননি তাঁরা। আজ সোমবার দিনব্যাপী হংকংজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে তাতে কী পরিমাণ লোকসমাগম হবে, তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।
এদিকে জুনের মাঝামাঝি শুরু হওয়া এই আন্দোলন তিন সপ্তাহ ধরে হংকংয়ের বিমানবন্দরকে টার্গেট করে এগোচ্ছে। বিমানবন্দরসংলগ্ন টুং চাং শহরটির রাস্তার সব বাতির খুঁটি ও সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রতিবারের বিক্ষোভেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের হাতে নিয়মিত আটকও হচ্ছেন তাঁরা।
বহুবার বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে টার্মিনাল ব্লক থেকে শুরু করে ফ্লাইট বিলম্বের কারণ হয়েছেন কালো পোশাকের আন্দোলনকারীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ২০ বছর বয়সী এক যুবক গতকাল রয়টার্সকে বলছিলেন, ‘যদি আমরা বিমানবন্দর অচল করে দিতে পারি, তাহলে হংকংয়ের খবরটি বেশি সংখ্যক বিদেশির নজরে আসবে।’
স্বায়ত্তশাসনের ক্ষমতা দিয়ে ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্য চীনের কাছে হংকং হস্তান্তর করে দেয়। এখন চীনের নিয়ন্ত্রণ থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়ে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে হংকংবাসীর একটি বিরাট অংশ।