হংকংয়ে সহিংসতা ঠেকাতে মুখোশে নিষেধাজ্ঞা, ক্ষিপ্ত বিক্ষোভকারীরা
হংকংয়ে বিক্ষোভকারী ও সরকারের মধ্যে কয়েক মাসের সহিংসতা ঠেকাতে যেকোনো ধরনের মুখোশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো ঔপনিবেশিক যুগের জরুরি ক্ষমতা প্রদর্শন করল হংকং। সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ খবর জানিয়েছে।
আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে কেবিনেটের ১৬ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যারি লাম জানান, মুখোশের নিষেধাজ্ঞা বিক্ষোভকারীদের সহিংসতা বন্ধের ক্ষেত্রে একটি ভিন্ন প্রভাব ফেলবে এবং পুলিশকে আইন প্রয়োগে সহায়তা করবে।
ক্যারি লাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে, হংকং জরুরি অবস্থার মধ্যে রয়েছে।’
ক্যারি লাম আরো বলেন, ‘সহিংসতা হংকংকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমাদের অবশ্যই বর্তমান ও ভবিষ্যতের হংকংকে রক্ষা করতে হবে।’
এ নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীদের এক বছরের কারাভোগ অথবা ২৫ হাজার স্থানীয় মুদ্রা জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কেউ যদি শারীরিক অসুস্থতা, ধর্মীয় বিষয় অথবা অন্য কারণে মুখ ঢেকে রাখেন, তাহলে তাঁকে কারণ দর্শাতে হবে বলেও জানানো হয়।
প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো ঔপনিবেশিক যুগের জরুরি ক্ষমতা প্রদর্শন করল হংকং। এর ফলে হংকংয়ে সহিংসতা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।