আজ কানাডায় সাধারণ নির্বাচন, জনমত জরিপ কী বলছে?
কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন লিবারেল দলকে দেশবাসী দ্বিতীয় দফা সরকার গঠন করতে দেবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত হবে আজ সোমবার। আজ দেশটির ৪৩তম জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।
ভোটে অংশগ্রহণকারী দলগুলো পাঁচ সপ্তাহ ধরে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের কাছে প্রচারণা চালিয়েছে। এ সময় প্রতিপক্ষকে বাক্যবাণে জর্জরিত করতেও পিছপা হয়নি দলগুলো। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এখন সময় ভোটারদের। নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।
কানাডাভিত্তিক গবেষণা ও জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ন্যানোস রিসার্চ জানাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে ট্রুডোর লড়াইটা মূলত প্রতিপক্ষ কনজারভেটিভ দলের নেতা অ্যানড্রু শিরের সঙ্গে। প্রাক-নির্বাচনী জরিপে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনগণের পছন্দের পাল্লাটি দুজনের ক্ষেত্রে রয়েছে ঠিক সাম্যাবস্থায়। তাই কানাডার পার্লামেন্টের নেতৃত্ব কে দেবেন, তার নিশ্চিত রায় আগে থেকে দেওয়া যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ন্যানোস রিসার্চের কর্ণধার নিক ন্যানোস বলেন, “যদি জনগণের ভাষায় এবারের নির্বাচনকে এককথায় বর্ণনা করতে হয়, তাহলে বলতে হবে, ‘সিদ্ধান্তহীন ২০১৯’।”
বিভিন্ন জরিপ ও গুগল সার্চ থেকে জানা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে কানাডাবাসীর কাছে যে ইস্যুগুলো সবচেয়ে প্রাধান্য পাচ্ছে তা হলো স্বাস্থ্যসেবা। এর পরই রয়েছে জলবায়ু ইস্যুটি। এ ছাড়া আলোচনায় রয়েছে ট্যাক্স, শিক্ষা ও গাঁজার ব্যবহার বৈধকরণের মতো ইস্যুগুলোও। কনজারভেটিভ দলের নির্বাচনী প্রচারণায় ট্যাক্স কমানোর বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। তবে বেশিরভাগ ভোটারই মনে করেন, শির জলবায়ু বিষয়টিকে অন্য প্রার্থীদের তুলনায় কম প্রাধান্য দেবেন।
তবে এবারের নির্বাচনে জোরালোভাবে কোনো একক ইস্যুকে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রার্থীরা। তাই এ নির্বাচকে ‘ইস্যুবিহীন নির্বাচন’ বলছেন অনেকেই। আর এ কারণে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কোনো একজন প্রার্থীই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যেতে পারেন।
কানাডাজুড়ে ৩৩৮ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের ফল ঘোষণা হবে স্থানীয় সময় আজ রাত ৮টা নাগাদ। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করতে হলে কোনো একটি দলকে কমপক্ষে ১৭০টি আসনে জয়লাভ করতে হবে। অবশ্য জনমত জরিপ বলছে, ট্রুডো কিংবা শির কেউই এই সংখ্যার ধারেকাছে নেই।