আইএস ধ্বংসে অঙ্গীকারবদ্ধ ফ্রান্স : ওলাঁদ
ইসলামিক গোষ্ঠীকে (আইএস) ধ্বংস করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ফ্রান্স বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। স্থানীয় সময় সোমবার ফ্রান্সের পার্লামেন্টে তিনি এ অঙ্গীকার করেন।
ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বলেন, জরুরি অবস্থার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য তিনি একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপন করবেন এবং সংবিধান পরিবর্তনের জন্যও অনুরোধ করবেন। ইরাক ও সিরিয়ায় ফ্রান্সের সামরিক অভিযান জোরদার করা হবে বলেও তিনি জানান।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘জরুরি অবস্থা অবলম্বন করতে আমাদের একটি যথাযথ কর্মকৌশল প্রয়োজন। এ জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে। অন্য যেসব পদক্ষেপ নিতে তিনি বলেছেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—পুলিশের আরো পাঁচ হাজার তল্লাশিচৌকি স্থাপন, প্রতিরক্ষা বাজেটে নতুন করে কাটছাঁট না করা, ফ্রান্সের জন্য হুমকিস্বরূপ বিদেশিদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া ইত্যাদি।
ওলাঁদ বলেন, আইএসের বিরুদ্ধে হামলার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বসবেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ‘পুরোনো বন্ধু’ ফ্রান্সকে সমর্থন জানাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সোমবার প্যারিস গেছেন। তিনি হামলাকারীদের মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে অভিহিত করেছেন।
তুরস্কে জি-২০ সম্মেলনেও বিশ্বনেতারা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পারস্পরিক সহায়তা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
ফ্রান্সের পার্লামেন্টে ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ সিরিয়ায় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধিতা করেন এবং একই সঙ্গে বলেন, ‘আমাদের শত্রু আইএস।’ তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা আরো বাড়ানোর কথা বলেন এবং বিমানবাহী রণতরী শার্ল দ্য গল আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানে ব্যবহারের কথা জানান।
গত সোমবার সিরিয়ার রাক্কা শহরে আইএস ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফ্রান্সের বিমান। ফরাসি কর্মকর্তারা জানান, ১০টি বিমান থেকে ২০টি নির্দেশিত (গাইডেড) বোমা ফেলা হয়।
গত শুক্রবার রাতে প্যারিসের কয়েক জায়গায় একযোগে সন্ত্রাসী হামলায় ১২৯ জন নিহত হন। আহত হন কয়েকশ মানুষ। হামলার পর দায় স্বীকার করে আইএস।