ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে বৈষম্য কম
নারী-পুরুষের বৈষম্য ভারত-পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশে কম। আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৪, ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান যথাক্রমে ১০৮ ও ১৪৪। বিশ্বের ১৪৫টি দেশে এ জরিপ পরিচালনা করে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি।
ডব্লিউইএফ বলছে, নারী ও পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য পুরোপুরি যেতে আরো ১১৮ বছর লাগবে। ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে নারীরা এ মুহূর্তে যা আয় করছে, ২০০৬ সালেই পুরুষরা তা আয় করত।
এদিকে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এক দশক আগের তুলনায় বর্তমানে ২৫ কোটি নারী বিশ্বজুড়ে কর্মক্ষেত্রে অংশ নিয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশে পুরুষের তুলনায় অধিক সংখ্যক নারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও তারা কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্বের জায়গা নিতে পারছে না বা দক্ষতার ভূমিকা রাখতে পারছে না।
প্রতিবেদন তৈরির সময় নারী ও পুরুষ যে চারটি ক্ষেত্রে সমঅধিকার পাচ্ছে না, ডব্লিউইএফ তা বিবেচনায় রেখেছে : স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন।
নারী-পুরুষ বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে নর্ডিক দেশগুলো সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। ১৪৫টি দেশের মধ্যে শীর্ষ চারটিই এ অঞ্চলের : ১. আইসল্যান্ড, ২. নরওয়ে, ৩. ফিনল্যান্ড, ৪. সুইডেন।
এর পর রয়েছে—৫. আয়ারল্যান্ড, ৬. রুয়ান্ডা, ৭. ফিলিপাইন, ৮. সুইজারল্যান্ড, ৯. স্লোভেনিয়া ও ১০. নিউজিল্যান্ড।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক সাদিয়া জাহিদি বলেন, ‘পরিবারে তাদের সবচেয়ে ভালো নীতি রয়েছে। তাদের শিশু যত্নের ব্যবস্থা সবচেয়ে ভালো এবং তাদের মা-বাবা ও পরিবারের ছুটির জন্য সবচেয়ে ভালো আইন রয়েছে।’
সবচেয়ে বৈষম্য বেশি যেসব দেশে সেই তালিকার মধ্যে রয়েছে—১. ইয়েমেন, ২. পাকিস্তান, ৩. সিরিয়া, ৪. সাদ, ৫. ইরান, ৬. জর্ডান, ৭. মরক্কো, ৮. লেবানন, ৯. মালি, ১০. মিসর।
প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য ১৮, যুক্তরাষ্ট্র ২৮ ও কানাডা ৩০তম অবস্থানে রয়েছে।