তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার
রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করায় তুরস্কের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে তুরস্ক থেকে পণ্য আমদানি, রাশিয়ায় কর্মরত তুরস্কের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও রাশিয়ার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তুরস্কের নাগরিকরা।
ভ্লাদিমির পুতিন নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশে সই করেছেন। দুই দেশের মধ্যে চলাচলরত চার্টার ব্মিানও নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
গত মঙ্গলবার সিরিয়ার সীমান্তে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে তুরস্ক। এর পর পুতিন বলেন, এর মধ্য দিয়ে পেছন থেকে রাশিয়ার পিঠে ছুরি মারা হলো। তিনি তুরস্কের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা দাবি করেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তুরস্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হলো রাশিয়া। এ ছাড়া গত বছর প্রায় ৩০ লাখ রুশ পর্যটক তুরস্ক ভ্রমণ করেন।
স্থানীয় সময় শনিবার পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তুরস্কের প্রায় ৯০ হাজার নাগরিক রাশিয়ায় কর্মরত। পরিবারের সদস্যসহ এ সংখ্যা দুই লাখ দাঁড়াবে।
নিষেধাজ্ঞার আদেশে রাশিয়ার ভ্রমণ পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোকে বলা হয়েছে, তারা যেন তুরস্কের কাছে ভ্রমণ প্যাকেজ বিক্রি না করে। পরিস্থিতি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়া তার নাগরিকদের তুরস্কে ভ্রমণে সতর্ক করে দিয়েছে।
তুরস্কের অভিযোগ, বারবার সতর্ক করা হলেও রাশিয়ার যুদ্ধবিমান তার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। তবে বিমানের বেঁচে যাওয়া পাইলট বলেছেন, তাঁকে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি তুরস্ক।
মস্কো বলে আসছে, এসইউ-২৪ মডেলের যুদ্ধবিমানটি সিরিয়ার অভ্যন্তরে ভূপাতিত করে তুরস্কের ক্ষেপণাস্ত্র। তারা জানত এটি রাশিয়ার বিমান।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের হয়ে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে রাশিয়া। আর যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র তুরস্ক বলছে, সিরিয়ায় রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আগে আসাদকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
দুই দেশই বলছে, তারা ওই অঞ্চলকে আইএস গোষ্ঠী থেকে মুক্ত করতে চাইছে। সম্প্রতি আইএস প্যারিস ও আঙ্কারায় হামলা এবং রাশিয়ার যাত্রীবাহী বিমানকে ভূপাতিত করার দাবি করেছে।