‘গুলিতে গুরুতর আহত তালেবান নেতা মোল্লা মনসুর’
পাকিস্তানে একটি বৈঠকে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বন্দুক হামলায় আফগানিস্তানের শীর্ষ তালেবান নেতা মোল্লা আখতার মনসুর গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় চার তালেবান সদস্য নিহত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার পাকিস্তানের কোয়েটা শহরের কোনো একটি জায়গায় এ ঘটনা ঘটে। তালেবানের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, বন্দুক হামলায় মোল্লা মনসুর মারা গেছেন। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি।
আফগানিস্তানের তালেবান নেতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর পর মোল্লা আখতার মনসুরকে একটি পক্ষ প্রধান নেতা মেনে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। একে কেন্দ্র করে মোল্লা মোহাম্মদ রসুলের নেতৃত্বে দলে ভাঙনেরও সৃষ্টি হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সংগঠনটির নেতা আবদুল্লাহ সারহাদির বাসায় ওই বৈঠক চলছিল। এ সময় মোল্লা মনসুর ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিবিসির প্রতিবেদক দাউদ আযমি বলেন, সারহাদি যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ানতানামো কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। পরে তিনি মুক্তি পান। সেখান থেকে ফিরে আসার পর সারহাদি তালেবান নেতাকর্মীদের কাছে এক ধরনের ‘প্রতীকে’ পরিণত হন।
একজন জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘বৈঠকে আলোচনার সময় কয়েকজন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেন। তার পরই গুলি শুরু হয়।’
তবে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মোজাহিদ এ ধরনের কোনো হামলার কথা সাফ অস্বীকার করেছেন। তিনি আফগানিস্তানে বিবিসিকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটার কোনো কারণ নেই। কারণ, মোল্লা মোহাম্মদ মনসুর এখন আফগানিস্তানে অবস্থান করছেন। আর তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত দুর্বল নয়।’
আফগানিস্তানে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমর ২০১৩ সালে মারা যান। গত জুলাই মাসে তালেবানের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার করা হয়। তাঁর মৃত্যুর কারণে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে চলা তালেবানের আলোচনায় ছেদ পড়ে।