জঙ্গিদের অর্থ দিচ্ছে সৌদি আরব, অভিযোগ জার্মানির
পশ্চিমা দেশগুলোতে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে সৌদি আরব ইসলামী জঙ্গিদের আর্থিক সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করেছেন জার্মান ভাইস-চ্যান্সেলর সিগমার গ্যাব্রিয়েল। তিনি বলেছেন, চরমপন্থী মসজিদ এবং সম্প্রদায়গুলোকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে সৌদি আরব। এটা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। এই সহায়তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
জার্মানির ‘বিল্ড অ্যাম জনটাগ’ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন সিগমার গ্যাব্রিয়েল।
ব্রিটেনের গণমাধ্যম দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, সিগমার বলেন, ‘আমাদের শুধু তাকিয়ে দেখার সময় যে শেষ হয়ে গেছে এটা সৌদি আরবকে বোঝাতে হবে। সারা বিশ্বের সব ওয়াহাবি মসজিদগুলোকে অর্থায়ন করছে সৌদি আরব। জার্মানির যেসব ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, তারা সবাই এই মতাদর্শের।’
পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলা চালানো ‘ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে যেসব মসজিদের সম্পর্ক রয়েছে, সেগুলোতে সৌদি অর্থায়নের অভিযোগ অনেক পুরোনো। তবে এবারই প্রথমবারের মতো কোনো পশ্চিমা নেতা তাদের মিত্র সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এই অভিযোগ করলেন।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সহকারী এবং তাঁর জোটের প্রধান মিত্র হচ্ছেন সিগমার গ্যাব্রিয়েল।
আরব বিশ্বের মধ্যে সৌদি আরব প্রধান অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী শক্তি হয়ে উঠছে বলে জার্মানির গোয়েন্দারা একটি সতর্কবার্তা জারি করার পর পরই দেশটি সম্পর্কে এমন মন্তব্য করলেন গ্যাব্রিয়েল।
অবশ্য ফেডারেল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের (বিএনডি) এই সতর্কবার্তা রাষ্ট্রীয় অবস্থানকে বোঝায় না বলে এর আগে জানিয়েছিল মেরকেল সরকার। তবে গ্যাব্রিয়েলের বক্তব্য এটা পরিষ্কার করল যে, সৌদি আরবের শাসন সম্পর্কে জার্মান সরকারের ভেতরে এক ধরনের সন্দেহ আছে।
সুন্নি মুসলামানদের মধ্যে একটি মৌলবাদী ধারা হচ্ছে ওয়াহাবি মতবাদ। সৌদি আরবের সরকার, ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল-কায়েদাও এই মতবাদে বিশ্বাসী।
এই মতবাদকে ছড়িয়ে দিতে বিশ্বব্যাপী ওয়াহাবি মসজিদ নির্মাণে অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে সৌদি আরব। জার্মানিতে অবস্থানরত সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য ২০০ মসজিদ তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে এরই মধ্যে জার্মান গণমাধ্যমে সমালোচিত হয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান। যদিও কোনো শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে রাজি হননি তিনি।