ইরাকের প্রাচীন শহর ধ্বংস করছে আইএস
ইরাকের মসুল শহরের কাছে তিন হাজার বছরের প্রাচীন আসিরীয় শহর নিমরুদ ধ্বংস করা শুরু করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। দেশটির পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রার্থনার পর আইএস জঙ্গিরা ভারী যানবাহন দিয়ে নিমরুদ শহরে বুলডোজার চালানো শুরু করেছে। সপ্তাহ খানেক আগে মসুলের এক জাদুঘরে আসিরীয় দেবতার ভাস্কর্যসহ প্রাচীন সব নিদর্শন ধ্বংস করার ভিডিও প্রকাশ করে আইএস।
আজ শুক্রবার পর্যন্ত শহরটির কতটুকু অংশ ধ্বংস হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নিমরুদ শহরকে আসিরীয় যুগের রত্ন বলা হয়। খ্রিস্টপূর্ব ১৩ শতকে মসুলের ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে টাইগ্রিস নদীর তীরে শহরটির পত্তন হয়।
স্টোনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরাকি প্রত্নতত্ত্ববিদ আবদুলামির হামদানি বলেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে বলছি, এই ঘটনা যে ঘটবে সবার তা জানা ছিল। ইরাকে সব ঐতিহাসিক নিদর্শন ধ্বংসের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের (আইএস)।’ তিনি বলেন, আইএসের পরের লক্ষ্য হচ্ছে দুই হাজার বছরের প্রচীন শহর হাতরা। এই শহরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের নির্দশন হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেসকো। ১৯৮৮ সালে এই নিমরুদ শহরের মাটির নিচ থেকে বহু মূল্যবান রত্ন সংগ্রহ করা হয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে আইএসের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওচিত্রে মসুলের জাদুঘরে রাখা কয়েকটি বড় আকৃতির ভাস্কর্য ভারী হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলতে দেখা যায়। খ্রিস্টপূর্ব নয় শতকের একটি আসিরীয় দেবতা ডানাওয়ালা ষাঁড়ের ভাস্কর্য জঙ্গিরা ড্রিল মেশিন দিয়ে ধ্বংস করে। আইএস জঙ্গিরা এরই মধ্যে ইরাকে শিয়া মুসলমানদের অনেক পবিত্র স্থান ধ্বংস করেছে।