দিনে বাচ্চাদের শিক্ষিকা, রাতে পর্নোতারকা!
খবরটি প্রথম বের হয় স্থানীয় একটি পত্রিকায়। এরপর অভিভাবকরা ছুটে যান স্কুলে। দাবি জানান, শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সার্বিয়ার বেলগ্রেডের পত্রিকাটির দাবি, ওই শিক্ষিকা দিনে নার্সারির বাচ্চাদের পড়ান, আর রাতে অবসর সময়ে পর্নো ভিডিও শুট করেন!
সার্বিয়ার পত্রিকাটির বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার জানায়, ওই স্কুলের একটি বাচ্চার মা ঘটনাক্রমে একটি শিক্ষিকার পর্নো কার্যক্রমের বিষয়টি দেখতে পান। এরপর অভিভাবকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে যান। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ওই শিক্ষিকা নার্সারিতে তিন বছর ধরে পড়াচ্ছেন, কিন্তু কোনোদিন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যখন আমরা অভিভাবকদের চিঠি পেলাম, তখনই আমরা পরিদর্শক ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁরা বলেছেন, আমাদের বাবা-মায়েদের এবং পর্নোসাইটটির প্রোগ্রামারের বক্তব্য নিতে হবে।’
প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, ‘সপ্তাহান্তের পুরো সময় আমি ছবিগুলো দেখেছি, মিলিয়ে দেখেছি, কিন্তু অকাট্য প্রমাণ ছাড়া তো কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নতে পারি না।’
তবে ওই শিক্ষিকা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে ডেকেছেন, আমি যাব। আর আমি কাগজপত্র এনে দেখিয়ে দেব, আমি একটি টেলিমার্কেটিং কোম্পানিতেও কাজ করি। কিন্তু কোনো পর্নো মডেল হিসেবে নয়।’
স্কুলটির পরিচালক জানিয়েছেন, শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।