অবৈধ তেল ব্যবসা : নাইজেরিয়ায় চার বাংলাদেশির কারাদণ্ড
অবৈধভাবে অপরিশোধিত তেল বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকায় চার বাংলাদেশিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন নাইজেরিয়ার উচ্চ আদালত। একই অভিযোগে ফিলিপাইনের পাঁচ নাগরিককেও সমান সাজা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ-পশ্চিম নাইজেরিয়ার লাগোস শহরের ফেডারেল হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।
নাইজেরিয়ার দ্য নিউজ ডট কম জানিয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশিরা হলেন জহিরুল ইসলাম, ইসলাম শাহিনুল, ইসলাম রফিকুল এবং শেখ শিবলী নোমান।
সেই সঙ্গে অপরিশোধিত তেলভর্তি দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিদের নৌযান এমটি অ্যাস্টেরিস জব্দ করতে নাইজেরিয়ার সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
নাইজেরিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড ফিনানশিয়াল ক্রাইম কমিশনের আইন ও প্রসিকিউশন বিভাগের প্রধান ল্যাটোনা জানান, ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অবৈধভাবে অপরিশোধিত তেল বেচাকেনার সময় এই নয়জনকে আটক করা হয়। এঁরা তিন হাজার ৪২৩ মেট্রিক টনেরও বেশি পরিমাণ তেল অবৈধভাবে বেচাকেনা ও সংরক্ষণ করছিলেন, যা নাইজেরিয়ার পেট্রোলিয়াম আইনের ১ (১৯)(৬) ধারা অনুযায়ী অবৈধ। এই অপরাধসহ মোট চারটি অপরাধে আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ী তাঁদের সাজা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আদালতে নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। প্রথমে তাঁদের জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে তাঁদের জামিনও দিয়ে দেন আদালত।
তবে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাতজন সাক্ষী ও অন্যান্য প্রমাণ জোগাড় করে আদালতে পেশ করায় জামিন বাতিল করে কারাদণ্ড দেন আদালত। প্রতিটি অপরাধের জন্য পাঁচ বছর করে মোট চারটি অপরাধে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রায়াল জজ ইব্রাহিম বুবা।
শুনানিতে বিচারক ইব্রাহিম বলেন, অভিযুক্তরা নাইজেরিয়ার আইনের প্রতি অবজ্ঞা করেছেন এবং দেশটির নিয়ম ভেঙেছেন। নাইজেরিয়ার অধিবাসী বা প্রবাসী, প্রত্যেকেরই উচিত দেশের নিয়ম মেনে চলা।
রাষ্ট্রপক্ষের পেশ করা সাক্ষী প্রমাণ দেখার পর কারাদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ মিলিয়ন নাইজেরীয় মুদ্রাও জরিমানা করেন।