নিমরুদের পুরাকীর্তি ধ্বংস যুদ্ধাপরাধ : জাতিসংঘ
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের হাতে ইরাকের প্রাচীন নগরী নিমরুদ ধ্বংসের ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো।
গতকাল বৃহস্পতিবার আইএসের জঙ্গিরা বুলডোজার দিয়ে ইরাকের মসুল শহরের কাছে তিন হাজার বছরের প্রাচীন আসিরীয় শহরটির পুরোনো প্রাচীর ও ভাস্কর্য মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা বাসসের খবরে প্রকাশ করা হয়েছে।
টাইগ্রিস নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই নিমরুদ নগরী ছিল ঐতিহাসিক আসিরীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী। আইএস বলছে, এই নিদর্শনগুলো ইসলামসম্মত নয়, তাই এগুলোকে ধ্বংস করা প্রয়োজন।
ফ্রান্সের প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনেসকোর প্রধান ইরিনা বোকোভা আজ শুক্রবার বলেছেন, ত্রয়োদশ শতাব্দীর এই প্রাচীর ও ভাস্কর্যগুলো ছিল প্রাচীন ইরাকের সমাজ ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন এবং সেগুলো ধ্বংস করা যুদ্ধাপরাধের শামিল।
ইউনেসকোর প্রধান আরো বলেন, বাইবেলে এই নিমরুদ নগরীর কথা উল্লেখ আছে। এই নগরীতে লেন্স প্রথম আবিষ্কার হয় ও তার নির্দশন এই নগরীতেই পাওয়া যায়। এই ধরনের অনেক ইতিহাস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো।
নিমরুদের প্রাচীন পুরাকীর্তি ভেঙে ফেলাকে ইউনেসকোর প্রধান ২০০১ সালে তালেবানদের হাতে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি ধ্বংসের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
এক সপ্তাহ আগে আইএস একটি ভিডিও প্রকাশ করে যাতে ইরাকের আরেকটি প্রাচীন নগরী মসুলের জাদুঘরে মূর্তি ও অন্যান্য ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার ছবি দেখানো হয়।