তিন দিন কাদায় ডুবে থাকার পরও জীবিত!
কাদা, পাথর কুচি আর ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে প্রায় তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে চীনের এক ব্যক্তিকে। চীনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শিল্প এলাকায় ভূমিধসের কারণে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা ছিলেন তিনি।
আজ বুধবার চীনের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করেন উদ্ধারকর্মীরা।
চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা জিনহুয়ার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম তিয়ান জেমিং (১৯)। তিনি সিচুয়ান প্রদেশের একজন শ্রমিক।
৬৭ ঘণ্টা মাটির নিচে প্রায় সমাধিস্থ থাকার পর তিয়ানকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর সারা শরীরে বহু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, আর কখনো নিজের পায়ে ভর দিয়ে হাঁটা হবে না তিয়ানের।
গত রোববার সকালে সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিধস হয়। পরে নির্মাণবর্জ্য ভূমিধসের সঙ্গে মিশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে। এতে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে উদ্ধারকর্মীদের আশঙ্কা।
ওই ঘটনায় ৭৫ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। প্রায় চার হাজার উদ্ধারকর্মী দিন-রাত পরিশ্রম করে উদ্ধারকাজ করে চলেছেন। ধসের নরম মাটি, কাদা ও বর্জ্যের কারণে উদ্ধারকাজ চালাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ভূমিধসের সময় এই কাদার আটকে যাওয়ার কারণেই অনেকে পালাতে পারেননি।
ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, একটি পাহাড় থেকে ভূমিধস হয়। পরে তা পাহাড়ের পাশের নির্মাণবর্জ্যের সঙ্গে মিশে একসঙ্গে একটি কারখানার ওপরে গিয়ে পড়ে। কারখানাটির শ্রমিকদের থাকার স্থান এবং অফিস ভূমিধসের নিচে চাপা পড়ে।
দীর্ঘদিন ধরেই ওই স্থানে নির্মাণবর্জ্য ফেলছিল আশপাশের কারখানাগুলো। কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা অভিযোগ করার পরও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে নিউইয়র্ক টাইমসের কাছে অভিযোগ করেছেন ঝ্যাং নামের এক শ্রমিক।
ভূমিধসে ৩০টির বেশি ভবন পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হতাহত শ্রমিকদের বেশির ভাগই চীনের হেনান প্রদেশ থেকে এ অঞ্চলে কাজ করতে গিয়েছিলেন।