ফারিনাকে হেনস্তা করেছে বাংলাদেশ : পাকিস্তান
জঙ্গি যোগসাজশের অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানি কূটনীতিককে ফিরিয়ে নেওয়ার পর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, ওই নারী কূটনীতিককে ধারাবাহিকভাবে হেনস্তা করেছে বাংলাদেশ। গত বুধবার ঢাকায় পাকিস্তানের দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি ফারিনা আরশাদকে ঢাকা থেকে ফিরিয়ে নেয় পাকিস্তান। এর পর বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তাঁদের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এ ব্যাপারে ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে দুবার তলব করা হয়েছিল বলেও বিবৃতিতে বলা হয়। হাইকমিশনারকে তলব করে ঢাকায় ওই দূতাবাস কর্মীর প্রতি যে ধরনের আচরণ করা হচ্ছে, সে বিষয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছিল বলেও জানায় পাকিস্তান।
ফারিনা আরশাদ ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) পদে কর্মরত ছিলেন।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘ফারিনা আরশাদকে তথাকথিত জঙ্গিদের সঙ্গে জড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে এবং সংবাদমাধ্যমে সংগঠিতভাবে অনবরত মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ঢাকায় পাকিস্তানের দূতাবাস শক্তভাবে এই ভিত্তিহীন এবং আরোপিত অভিযোগ খণ্ডন করেছে বলেও উল্লেখ করা হয় ওই বিবৃতিতে।
এ ছাড়া ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি মেনে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় পাকিস্তান।
এর আগে বুধবার ঢাকায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে শাহজালাল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, বুধবার দুপুরে ফারিনা আরশাদ বাংলাদেশ ছেড়ে গেছেন।
জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে গত জানুয়ারিতে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা মাযহার খানকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ওই খবরও ‘ভিত্তিহীন’ বলে পাকিস্তান হাইকমিশন এক বিবৃতি দিয়েছিল।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, জঙ্গিবাদের সঙ্গে ওই নারী কূটনীতিকের জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউএনবি জানায়, নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সঙ্গে জড়িত ফারিনা আরশাদ। আটক একজন জঙ্গিও স্বীকারোক্তির সময় তাঁর জড়িত থাকার কথা বলেছে।