নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় শত মাইল পেরোলেন তাঁরা
পেছনে প্রাণঘাতী, ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ। ভগ্নস্তূপে পরিণত নিজেদের বাসভূমি। সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া ও আফগানিস্তান থেকে বের হয়ে আসা লাখ লাখ শরণার্থী প্রত্যক্ষ করেছে স্বজনসহ অসংখ্য মৃত্যু। আর তাই নিজেদের বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাঁরা।
২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ইউরোপমুখী শরণার্থীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। আন্তর্জাতিক অভিভাসন সংস্থা জানায়, জানুয়ারি থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউরোপে যাওয়া এসব মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ ছয় হাজার। তবে ইউরোপীয় সীমান্তরক্ষী ফ্রন্টটেক্সের হিসাবের খাতায়, এ সংখ্যা ১৫ লাখের বেশি।
নিজ দেশের সংঘাত, দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্য এড়াতেই, বছরব্যাপী শত শত মাইল পথ পেরিয়েছে নতুন আশ্রয়ের সন্ধানে মরিয়া এসব শরণার্থী।
তাঁদের মধ্যে সমুদ্রপথে ইউরোপ পৌঁছে নয় লাখ ২০ হাজার মানুষ। মূলত দুটি সমুদ্রপথ ব্যবহার করে তাঁরা ইউরোপে পৌঁছে। একটি হচ্ছে লিবিয়ার উত্তর উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালি যাওয়া। দ্বিতীয় পথটি হচ্ছে, এজিয়ান সাগর ব্যবহার করে তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়া। এ পথগুলো ব্যবহারে মৃত্যুঝুঁকিও উপেক্ষা করেন শরণার্থীরা।
স্থলপথের ঝুঁকিও কম নয়। যাঁরা যানবাহন পেয়েছেন, নিঃসন্দেহে ভাগ্য ভালো তাঁদের। আর যাঁরা পাননি, কোনো উপায় না পেয়ে অদৃষ্টের কাছে ভাগ্য সঁপে দিয়ে হাঁটতে শুরু করেন তাঁরা।
আরো দেখুন মোয়াজ্জেম হোসেনের ভিডিও প্রতিবেদনে :