মোদি-মমতা বৈঠক কাল, থাকতে পারে ঢাকা প্রসঙ্গ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হতে যাচ্ছে আগামীকাল সোমবার। এ উপলক্ষে আজ রোববার দিল্লির উদ্দেশে কলকাতা ছেড়ে যান মমতা।
মোদি-মমতার এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশও। কেননা, এই বৈঠকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত চুক্তি, তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে রাজ্য সরকারের ঋণের বোঝা মওকুফ করার আবেদন জানাতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে থাকছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রসহ ৩৬ থেকে ৩৮ জন।
গত ৪ মার্চ কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিতে সায় দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। ঢাকা সফর থেকে ফিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠিয়ে মমতা তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তাঁর আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, চুক্তি নিয়ে জট কাটাতে তিনি সহযোগিতা করতে চান।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সব ঠিক থাকলে চলতি বছর এপ্রিলেই ঢাকা সফরে যেতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। পররাষ্ট্রসচিব সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্করের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন মোদি। সেখানে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সফরের জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন।
এ ছাড়া গত ১৯-২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তাঁর ওপর আস্থা রাখার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অবিলম্বে ঋণ মওকুফের আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন মমতা। এ বিষয়ে আজ তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের আগের সরকারের রেখে যাওয়া বিশাল অঙ্কের ঋণের বোঝা মওকুফের জন্য আমরা অনেকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। গত সাড়ে তিন বছর আমরা অপেক্ষা করছি, কিন্তু কোনো ফলাফল পাইনি।’