কাছে ঘেঁষায় তরুণ-তরুণীকে জনসমক্ষে দোররা
শত শত মানুষের ভিড়। মাঝখানে এক তরুণীর আর্তচিৎকার। একটা উঁচু মঞ্চে বসিয়ে তাঁকে দোররা মারা হচ্ছে। সবাই তা-ই দেখছেন উৎসুক চোখে। হিজাব পরিহিত ওই তরুণীর ‘অপরাধ’ তিনি এক ‘পরপুরুষের কাছে ঘেঁষেছিলেন’।
ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচেহ অঞ্চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর প্রতি স্নেহপূর্ণ আচরণের কারণে নুর এলিটা নামের ওই তরুণীকে এ শাস্তি দেওয়া হয়। ওই আচরণের ফলে সেখানকার শরিয়া আইন ভেঙেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম জাকার্তা পোস্ট।
ইন্দোনেশিয়ার এই প্রদেশটির আইন অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রী নন এমন নারী-পুরুষ পরস্পরের বেশি কাছাকাছি হওয়া নিষেধ। এর শাস্তি প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত।
নূর এলিটাকে আটক করে একটি মঞ্চে ওঠানো হয়। সেখানে তাঁকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলা হয়। পরে মুখঢাকা ও আলখেল্লা পরা এক লোক তাঁকে একের পর এক বেত্রাঘাত করতে থাকেন। তাঁকে পাঁচবার বেত্রাঘাত করা হয়। এরপর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এলিটার সঙ্গের তরুণকেও আটক করে একই সাজা দেওয়া হয়। একই সময় জুয়া খেলার অপরাধে আরো চারজনকে সাজা দেওয়া হয়।
জাকার্তা পোস্ট জানায়, বেত্রাঘাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বান্দা আচেহর উপমেয়র জয়নাল আরেফিন। সাজা কার্যকর করার আগে তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, এই ঘটনাকে একটি শিক্ষা হিসেবে নেবেন। দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা যা করেছে তাকে উদাহরণ হিসেবে নেবেন না।
বান্দা আচেহই ইন্দোনেশিয়ার একমাত্র প্রদেশ যেখানে শরিয়া আইন বলবৎ রয়েছে। ২০০৩ সালে স্বায়ত্বশাসনের অধিকার পাওয়ার পর এই আইন চালু করে প্রদেশটি।