ট্রাম্পকে নিয়ে বিতর্ক করবেন ব্রিটিশ এমপিরা
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে না পারেন, সে জন্য নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি উঠেছে। এর পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দিয়ে নিজেদের মতামত জানাবেন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সদস্যরা (এমপি)।
যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব কমন্সের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন এ কথা জানিয়েছে। ১৮ জানুয়ারি লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার হলে এ বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্কে পার্লামেন্টের যেকোনো সদস্য উপস্থিত হয়ে ট্রাম্পের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে অনলাইনে একটি নাগরিক পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। একটি বিতর্ক আয়োজনের জন্য কোনো একটি বিষয়ের পক্ষে যেখানে এক লাখ স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়, সেখানে গত ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া পিটিশনে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ ট্রাম্পকে নিষিদ্ধের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন।
পিটিশনে বলা হয়, যাঁরা কথার মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ান, তাঁদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ম যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক যেকোনো ব্যক্তির জন্যই বলবৎ থাকা উচিত।
গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকার তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জানায়, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের জনসাধারণের জন্য সহায়ক নয় এমন কোনো অইউরোপীয় ব্যক্তিকে যুক্তরাজ্য থেকে বের করে দিতে পারেন।’
তবে এই মানদণ্ড ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর প্রয়োগ করা হবে কি না, সে সম্পর্কে ওই বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারাটা একটি সুবিধা, কারো অধিকার নয়। সমাজ ও মূল্যবোধের জন্য ক্ষতিকর এমন যে কারো যুক্তরাজ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে তিনি তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।’
ক্ষমতায় গেলে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধ করবেন বলে ট্রাম্পের দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ‘বেকুব’ বলে সম্বোধন করেছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এ ছাড়া মুসলিমবিরোধী বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন ট্রাম্প। এসব ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার কারণেই ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে দিতে রাজি নন দেশটির অসংখ্য নাগরিক।