মালয়েশিয়ায় ১৯৪ বাংলাদেশির কারাদণ্ড
অবৈধ অভিবাসনের দায়ে ২৪০ জনকে সাত মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন মালয়েশিয়ার আদালত। এর মধ্যে ১৯৪ জনই বাংলাদেশি। গত সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিভাগীয় আদালত মালয়েশিয়ায় এক সঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশির কারাদণ্ডের এই রায় দেন।
এ ছাড়া অতিরিক্ত সময় সে দেশে অবস্থানের কারণে আরো তিন বাংলাদেশির বিচারের রায় হবে আগামী ১৮ জানুয়ারি।
দেশটির ন্যাশনাল স্ট্রেইট টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় থাকার বৈধ কাগজপত্র না থাকায় গত সোমবার একসঙ্গে ২৪০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া পেকান নানাস ইমিগ্রেশন থেকে আরো ১১ জনকে বিশেষ বিভাগীয় আদালতে হাজির করা হয় অতিরিক্ত সময় মালয়েশিয়ায় অবস্থানের অভিযোগে।
ন্যাশনাল স্ট্রেইট টাইমস মালয়েশিয়া জানিয়েছে, আদালতে একসঙ্গে উপস্থিত করা সর্বোচ্চ সংখ্যক অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা এটি। বৈধ ট্র্যাভেল ডক্যুমেন্ট না থাকায় ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩-এর অধীনে ২৪০ জন অবৈধ অভিবাসীর স্বপক্ষের বক্তব্য শোনা হয়। এঁদের সবারই বয়স ১৯ থেকে ৪৭ এর মধ্যে। বিভাগীয় আদালত সালাওয়াতি দেজামবারি ২৪০ জন আসামিকে সাত মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেন। এই রায় গত বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে, যেদিন তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ২৪০ জন অভিবাসীর মধ্যে ১৯৪ জন বাংলাদেশি, ২১ জন ইন্দোনেশীয়, ১৬ জন মিয়ানমারের নাগরিক, পাঁচজন ভিয়তনামের নাগরিক, দুজন পাকিস্তানি এবং একজন ভারতীয় ও একজন নেপালি।
অতিরিক্ত সময় অবস্থানের অপরাধে যে ১১ জনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন বাংলাদেশি, সাতজন ইন্দোনেশীয় এবং একজন ভারতীয়। একই অ্যাক্টের অধীনে এই ১১ জনের কোনো অপরাধ প্রমাণিত হয়নি।
জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগ অভিযোগটি আদালতে উত্থাপন করে এবং নরহাসিমাহ ওথম্যান প্রসিকিউশনে বিচার সম্পন্ন হয়। এ সময় কোনো অভিবাসীর পক্ষেই কোনো প্রতিনিধিত্বকারী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।