ইউরোপে যেতে স্ত্রীকে গণধর্ষণে সায়!
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) তাণ্ডবে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় মানবাধিকার সংকট কতটা মারাত্মক রূপ নিয়েছে তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই ঘটনা। একদিকে আইএসের ধ্বংসযজ্ঞ, আরেকদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ (ইইউ) রাশিয়ার বিমান আক্রমণ। দেশের এই পরিস্থিতিতে সিরিয়া ছেড়ে ইউরোপে পালাতে মরিয়া হয়ে পড়েছে দেশটির জনগণ।
পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর হয়ে পড়েছে যে ইউরোপে যেতে এক স্বামী তাঁর স্ত্রীকে অবলীলায় গণধর্ষণের জন্য তুলে দিয়েছেন পাচারকারীদের হাতে। জার্মানির স্থানীয় সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে খবরটি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
পত্রিকাটি জানিয়েছে, সম্প্রতি সিরিয়া থেকে জার্মানি আসা চার সন্তানের মা স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, সিরিয়া থেকে পালাতে তাঁকে ব্যবহার করেছেন স্বামী। সেই নারীর দাবি, তাঁর স্বামীর কাছে সিরিয়া থেকে বের হওয়ার জন্য যথেষ্ট টাকা ছিল না। তখন স্বামীর অনুমতিতে পাচারকারী দলের লোকজন তাঁকে দিনের পর দিন গণধর্ষণ করেছে। শুধু সিরিয়ায় নয়, বুলগেরিয়া হয়ে জার্মানিতে আসার পথে তাঁকে বারবার ধর্ষণ করেছে পাচারকারীরা।
অবস্থা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, জার্মানি এসেও স্বামীকে দেখলেই আতঙ্কে চিৎকার করে উঠছেন ওই নারী। সব সময় তাঁর মনে হয়, এই বুঝি স্বামী এসে তাঁকে মেরে ফেলবেন। এই অবস্থার মধ্যে গত সপ্তাহে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
বার্লিনের মেমোরিয়াল হাসপাতালের মনোবিদ সুস্যান হোন এই নির্যাতিতার চিকিৎসা করছেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে ওই মনোবিদ জানান, ধর্ষণের পর ওই নারীর মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার লক্ষণ দেখা গিয়েছে। কিছুক্ষণ তিনি ভালো থাকেন, পরক্ষণেই সিরিয়া আর বুলগেরিয়ার ভয়ংকর দিনগুলোর কথা ভেবে আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন।