ফ্রান্সের শরণার্থী শিবিরে লুকিয়ে থাকতে পারে জিহাদিরা
ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের শহর ক্যালের শরণার্থী শিবিরগুলোতে কথিত ইসলামপন্থী জিহাদিরা লুকিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী শাখার সাবেক প্রধান কেভিন হারলি এমন আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন। কারণ, ক্যালে শহরটির মধ্যকার নৌপথ ব্যবহার করে ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ডে যাওয়া হয়।
সম্প্রতি এই শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে কেভিন বলেন, জঙ্গলের মধ্যে স্থাপিত এই শিবিরে পুলিশের তেমন কোনো পাহারা নেই। তাই বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো জিহাদিদের লুকিয়ে থাকার আদর্শ স্থান হতে পারে এই শিবির।
তবে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার এই বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন শরণার্থী শিবিরটিতে কাজ করা একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান।
ক্যালের উপকণ্ঠে স্থাপিত এই শিবিরে গত কয়েক মাসে আশ্রয় নিয়েছে হাজারো শরণার্থী।
বিবিসিকে কেভিন জানান, শরণার্থী শিবিরে লুকিয়ে থাকা সুসংগঠিত অপরাধীরা সাধারণ শরণার্থীদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমি যদি একজন পালিয়ে আসা জিহাদি হই, আমি এ রকম একটা শিবিরে নিজেকে লুকিয়ে ফেলব। এতে করে কেউ আমাকে সহজে খুঁজে পাবে না।’
ক্যালের শরণার্থী শিবিরের অধিবাসীদের সঙ্গে কথা বলার সময়ও তাঁদের কেভিন সতর্ক করে দেন, তাঁদের মধ্যে ভয়ংকর কোনো অপরাধী লুকিয়ে থাকতে পারে।
এদিকে একজন শরণার্থী জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ ছিলেন, যাঁরা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পক্ষে কাজ করতেন। তবে তাঁরা সশস্ত্র জিহাদি গ্রুপের সদস্য ছিলেন না।
এ ছাড়া স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের এক সন্ত্রাসবিরোধী গোয়েন্দা ডেভিড ভিডেসিট এই শরণার্থী শিবির সম্পর্কে একই ধরনের আশঙ্কা করেছেন। তিনি বলছেন, এই শিবির যুক্তরাজ্যের জনগণের জন্য বেশ বড় আশঙ্কার কারণ হতে পারে। যেসব অপরাধী পুলিশের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে, তারাও এখানে এসে লুকিয়ে থাকতে পারে।
তবে এসব কিছুর পরও কেয়ার ফর ক্যালে নামে একটি দাতব্য সংস্থা এখানে অভিবাসীদের থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। সংস্থাটির প্রধান ক্লেয়ার মোসলে পুলিশের এই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, এর চেয়ে হাস্যকর কথা তিনি এর আগে কখনো শোনেননি। তিনি বলেন, সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বোকা সন্ত্রাসীটিই ব্রিটেনে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করতে চাইবে। কারণ, ব্রিটেনে একজন শরণার্থীর অতীত সম্পর্কে ভালোভাবে জেনেই তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।