নারীর সম্মানে জুতাকৃতির গির্জা
তাইওয়ানের চাইয়ি প্রদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে জাতীয় নাট্যমঞ্চ এলাকায় নারীদের জুতার আকৃতির বিশাল কাচের গির্জা নির্মাণ করা হয়েছে। নারীদের আকর্ষণে গির্জাটির এই নকশা করা হয়েছে।
বিবিসির শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চায়নিজ নতুন বছরের প্রথম দিন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এ গির্জা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। ‘হাই হিল’-এর মতো দেখতে এই গির্জা ৫৫ ফুট উচু। এর বিস্তৃতি ৩৬ ফুট। ৩২০টি নীল রঙের কাচ দিয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ডলার।
গির্জাটির বিনোদন ব্যবস্থাপক পান শুশে-পিং বিবিসিকে জানিয়েছে, এই গির্জায় বিয়ের অনুষ্ঠান ও বিবাহ-পূর্ব ছবি ধারণের জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে এ গির্জায় সাধারণ কোনো কার্যক্রম চলবে না।
পান শুশে বলেন, ‘আমরা মূলত এ গির্জাকে আনন্দময় ও ভাবপূর্ণ করতে চেয়েছি। বউ সাজলে কেমন দেখাবে—তা নিয়ে প্রত্যেক নারীই কল্পনা করেন।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ানের এক দরিদ্র্য নারীর জীবনের কাহিনী এই গির্জা নির্মাণে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। ১৯৬০ সালে ২৪ বছর বয়সী ওয়াং হঠাৎ করে ‘ব্ল্যাকফুট’ নামে এক ধরনের রোগে আক্রান্ত হন। এ কারণে তাঁর দুই পা-ই কেটে ফেলতে হয়। এতে তাঁর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। পরে অবিবাহিত থেকে একটি গির্জায় সেবা-উপাসনা করে জীবন পার করেন ওই নারী। ওই নারীর সম্মানেই এই ‘হাই হিল’ গির্জা নির্মাণ করা হয়েছে।
তাইওয়ান সরকারের মুখপাত্র ঝেং রংফেং বলেন, ‘এই গির্জায় ১০০টি বিষয় থাকবে, যা নারীদের আকর্ষণ করবে। যেমন- এখানে ম্যাপল পাতা, প্রেমিক জুটি চেয়ার ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে। মূলত নারী পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই এটি নির্মাণ করা হয়েছে।’
আর সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমেও এই গির্জা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
অনেকে মনে করেন বিয়ের অনুষ্ঠানের এটি খুবই ভালো জায়গা হবে। আর নারীরা রূপকথা খুব বিশ্বাস করে।
তবে অনেক নারী মনে করছে এটা নির্মাণ করে নারীদের হেয় করা হয়েছে।