অভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে সতর্ক মিসর
২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের শাসনক্ষমতার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিল মিসর। আজ তাঁর পঞ্চম বার্ষিকী। দিনটিকে ঘিরে সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন মিসরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, অভ্যুত্থানের বার্ষিকীর আগের দিন রোববার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি। ভাষণে তিনি বলেন, ১৮ দিনের বিপ্লবে যে বিক্ষোভকারীরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁরা ‘মহৎ আদর্শ’ পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছিলেন। ফলে একটি ‘নতুন মিসর’ সৃষ্টি হয়েছিল।
পুরো ভাষণে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারীদের প্রশংসা করেন আল-সিসি। অথচ বার্ষিকীর আগেই সেই ‘নতুন মিসর’-এর বিপুলসংখ্যক লোককে গ্রেপ্তার করেছে সিসি প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
টেলিভিশন ভাষণে সিসি বলেন, ২০১১ সালের অভ্যুত্থানকে বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। ‘ব্যক্তিগত এবং সংকীর্ণ স্বার্থে’ একে চালিত করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে চলা গণঅসন্তোষ, দুঃশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি অভ্যুত্থান শুরু করে মিসরের সর্বস্তরের মানুষ। ১১ ফেব্রুয়ারি হোসনি মোবারকের পদত্যাগের ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ অভ্যুত্থান সফল হয়।
ওই ১৮ দিনে কায়রো, আলেকজান্দ্রিয়াসহ মিসরের বিভিন্ন প্রান্তে সহিংসতায় কমপক্ষে ৮৪৬ জন নিহত হয়। আহত হয় ছয় হাজারের বেশি মানুষ। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা ৯০টি থানা পুড়িয়ে দেয়। এ বিক্ষোভ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ আরব বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।