শরণার্থী সংকট নিরসনে ঐকমত্যে তুরস্ক-জার্মানি
সিরিয়ার শরণার্থী সংকট নিরসনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক ও জার্মানি।
স্থানীয় সোমবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এ ঘোষণা দিয়েছেন দেশ দুটির কর্মকর্তারা।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ইউরোপে ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সংকট নিরসনে সোমবার আঙ্কারায় তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলুর সঙ্গে বৈঠক করেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। বৈঠক শেষে শরণার্থীদের বিষয়ে ওই দুজন যৌথ পরিকল্পনার কথা জানান।
জার্মানি ও তুরস্কের ওই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার বৃহত্তম শহর আলেপ্পোতে সরকারি বাহিনীর হামলা বন্ধের বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, রুশ বিমান হামলায় সিরিয়ায় যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, তাতে তিনি ‘আতঙ্কিত’।
মেরকেল বলেন, গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘে পাস হওয়া একটি প্রস্তাব বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে তুরস্ক ও জার্মানি। সিরিয়ায় বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা কমাতে ওই প্রস্তাব আনা হয়েছিল।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু বলেন, ‘আলেপ্পো শহর কার্যত অবরুদ্ধ। আমরা একটি মানব বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে।’
এসব বিষয়ে ইস্তাম্বুল পলিসি সেন্টারের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী চেঙ্গিজ আকতার আলজাজিরাকে বলেন, রাশিয়া কার্পেটবোমা ছুড়ছে। দেশটি চায়, সিরিয়ার সেনাবাহিনী আলেপ্পো দখলে নিক, যাতে করে তুরস্কে শরণার্থী বাড়ে।