কুর্দি যোদ্ধাদের ওপর তুরস্কের হামলা
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি মিলিশিয়াদের দখল করা এলাকায় বোমা হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। তবে এ বোমা হামলা বন্ধ করে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দিকে নজর দিতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু জানিয়েছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে একযোগে সিরিয়ায় হামলা চালাবে তুরস্ক। শুধু বিমান হামলা নয়, সৌদি সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থল অভিযানেও অংশ নেবে তাঁর দেশ।
এরই মধ্যে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তুরস্কের বিমানঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে সৌদি আরব।
সিরিয়ার মেনাঘ বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ার বিদ্রোহীদের কাছ থেকে ঘাঁটিটির দখল নেয় কুর্দি মিলিশিয়া গ্রুপ ওয়াইপিজি। এই বিমানঘাঁটি তুরস্কের সীমান্তবর্তী শহর আজাজে অবস্থিত।
তুরস্কের টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ওয়াইপিজি যদি ওই বিমানঘাঁটির দখল না ছাড়ে, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে তুরস্ক।
ওয়াইপিজির সঙ্গে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) গেরিলা যোদ্ধাদের সংযোগ রয়েছে বলে মনে করে তুরস্ক। এই দলটি দীর্ঘদিন ধরে তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে আসছে।
এদিকে, নতুন অঞ্চল দখলের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করতে ওয়াইপিজির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেন, ‘ওয়াইপিজি এবং তুরস্ক দুই পক্ষের ওপরই আইএসের হুমকি রয়েছে। আমরা উভয় পক্ষই তাদের প্রধান হুমকির বিষয়ে নজর দিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
গত বৃহস্পতিবার বিশ্বশক্তির দেশগুলো বৈঠকের মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে তাতে সিরিয়ার সরকার বা বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর কোনো অংশগ্রহণ ছিল না।