সিরিয়ায় স্কুল-হাসপাতালে হামলায় নিহত ৫০
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন স্কুল ও হাসপাতালে পৃথক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো বহুসংখ্যক মানুষ।
এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে আখ্যা দিয়েছে ফ্রান্স ও তুরস্ক।
বিবিসির খবরে বলা হয়, রাশিয়া এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু মস্কো এ অভিযোগের ব্যাপারে এখনো কোনো উত্তর দেয়নি।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশের পাঁচটি হাসপাতাল ও দুটি স্কুলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
হামলার ঘটনার পর সোমবার বান কি মুনের বরাত দিয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ওই হামলায় অনেক শিশুও নিহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বনেতারা যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা দিলেও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ তা বাস্তবায়ন করবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ পশ্চিমা দেশগুলো সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতিতে যাবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্বনেতাদের ওই ঘোষণার পর টেলিভিশনের এক ভাষণে আসাদ বলেন, এ ধরনের অস্ত্রবিরতি মানে এটা নয় যে সবাই তা করবে।
আসাদ বলেন, ‘তাঁরা (বিশ্বনেতারা) এক সপ্তাহের মধ্যে অস্ত্রবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে সবাইকে এ বিষয়ে রাজি করানো যাবে কি?’
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে এ ধরনের হামলা ১১ ফেব্রুয়ারি মিউনিখের সম্মেলনে নেওয়া অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এক ধরনের ছায়া ফেলল।
২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দুই লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।