নারীর সঙ্গে অবকাশের খবর, প্রয়াত পোপকে ঘিরে সমালোচনা
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের (ক্যাথলিক) সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ দ্বিতীয় জন পলের পুরোনো চিঠি ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানায়, প্রয়াত পোপের সঙ্গে পোল্যান্ডের বংশোদ্ভূত আমেরিকান দার্শনিক আনা তেরেসা তিমিনিয়েতস্কার আদান-প্রদান হওয়া কয়েকশ চিঠি পোল্যান্ডের জাতীয় লাইব্রেরিতে পাওয়া গেছে।
চিঠিগুলোর সূত্র ধরেই আনা তেরেসা নামের ওই বিবাহিত নারীর সঙ্গে পোপের অবকাশ যাপনের ‘বিতর্কিত’ একটি বিষয় সামনে আনে সংবাদমাধ্যমটি। শুধু তা-ই নয়, মঙ্গলবার বিবিসি এমন কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে, যাতে দেখা যায় ক্যাম্পিং ও স্কি ট্রিপেও অংশ নিয়েছেন তাঁরা।
এই চিঠি ও ছবির পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমটি খবর প্রকাশ করে, পোপ ও তেরেসার মধ্যে আবেগপূর্ণ এক গভীর সম্পর্ক ছিল। এদিকে এই চিঠিগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর পোপের জীবনের লুকানো অধ্যায় নিয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিস্তর আলোচনা ও সমালোচনা হয়।
বিবিসি জানায়, আনা তেরেসা তিমিনিয়েত্স্কা ১৯৭৩ সালে একটি বইয়ের বিষয় নিয়ে পোপের সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করেন। সে সময় থেকে পোপের সঙ্গে তাঁর চিঠির আদান-প্রদান শুরু হয়। তখনো জন পল পোপ নির্বাচিত হননি। তখন তিনি ছিলেন কার্ডিনাল ক্যারোল উইত্তেভা। প্রথম যোগাযোগ করেন ভবিষ্যৎ পোপের সঙ্গে। এর পর থেকে তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
১৯৭৮ সালে পোপ নির্বাচিত হওয়ার পরও টিকে ছিল এই বন্ধুত্ব। এমনকি ২০০৫ সালে মৃত্যুর কদিন আগেও অসুস্থাবস্থায় তেরেসাকে চিঠি লিখেছিলেন পোপ জন পল। কিন্তু পোপ জন পল কখনো কৌমার্য ব্রত ভেঙেছেন কি-না, সেটি এসব চিঠিতে পরিষ্কার নয় বলে উল্লেখ করেছেন বিবিসির সংবাদদাতা।
অবশ্য বিবিসির পুরো খবরটিকেই ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভ্যাটিকান সিটি কর্তৃপক্ষ। ভ্যাটিকানের এই অস্বীকারের পরও বিবিসির খবরটি নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে বিশ্বজুড়ে।