বিদেশি কর্মী নেওয়া বন্ধ করল মালয়েশিয়া
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া। আজ শুক্রবার দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি এ ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষণার সময় তিনি আলাদা করে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করেন।
আহমেদ জাহিদ হামিদির বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার অনলাইন জানিয়েছে, শ্রমিক নেওয়া বন্ধে মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। সিদ্ধান্ত বহাল থাকাকালে সরকার বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে দুই স্তরের কর্মসূচি পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) করবে।
মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা এমন সময়ে এলো, যখন বাংলাদেশ থেকে নতুন করে শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ভবনে জনশক্তি রপ্তানিবিষয়ক সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতো শ্রী রিচার্ড রিওট আনাক জায়েম সই করেন।
ওই সময় নুরুল ইসলাম বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সোর্স কান্ট্রি হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে অন্যান্য সোর্স কান্ট্রির মতো বাংলাদেশ থেকে সেবা, নির্মাণ, কৃষি, প্ল্যান্টেশন ও ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে কর্মী নিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত হলো। অতীতে শুধু প্ল্যান্টেশন সেক্টরে কর্মী নিয়োগের সুযোগ ছিল।
নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ১৫ লাখ শ্রমিক নেওয়ার কথা বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল।
আজ শুক্রবার এক জনসভায় বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেন, দেশি শ্রমিক নিয়োগ দিতে নিয়োগকারীদের অনুরোধ করা হয়েছে। আর অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের আটক করা হবে এবং নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি একই সঙ্গে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। তিনি আশা করেন, মালয়েশিয়া বিশেষত, দেশটির তরুণরা সরকারের সিদ্ধান্তে সাড়া দেবেন এবং বিদেশিদের কাছে থাকা কাজগুলোতে নিজেরা অংশ নিয়ে দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধিতে অবদান রাখবেন।
এদিকে আরেক সংবাদমাধ্যম মালয় মেইল জানিয়েছে, উপপ্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ট জানান, দেশের পণ্য উৎপাদন খাত ও কৃষিকাজে জনবল সংকট থাকায় আরো বিদেশি শ্রমিক নেওয়া প্রয়োজন।