নরওয়ের গুহায় ট্যাংক, সমরাস্ত্র মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র
মধ্য নরওয়ের গুহার মধ্যে ট্যাংকসহ বিভিন্ন সমরাস্ত্র সমৃদ্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার পার্শ্ববর্তী ন্যাটোভুক্ত দেশের সীমানার মধ্যে নিরাপত্তা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, সংকটময় মুহূর্তে দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ নিতেই রাশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি নরওয়ের গুহায় ট্যাংকসহ বিভিন্ন সমরাস্ত্র মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ শুক্রবার মার্কিন মেরিন এক্সপিডিশনারি ব্রিগেডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্নেল উইলিয়াম বেন্টলি বলেন, সমরাস্ত্র মোতায়েনে খরচ কমার সঙ্গে সঙ্গে জরুরি সময়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
রাশিয়ার সঙ্গে নরওয়ের ১২১ দশমিক ৬ মাইল দীর্ঘ সীমান্ত। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ওই সীমান্তের দুই পাশেই ভারী অস্ত্র আনা হয়েছিল। স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের মতো নরওয়ের গুহায় যুক্তরাষ্ট্রের সমরাস্ত্র মোতায়েনে ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে নতুন করে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
জানা গেছে, নরওয়ের সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরেই রাশিয়ার একটি নৌঘাঁটি। গত অক্টোবরে রাশিয়া ওই সীমান্তের কাছে যুদ্ধংদেহী মনোভাব প্রদর্শন করে বলে দাবি করেন নরওয়ের প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রধান।
জানা গেছে, প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট নরওয়ের গুহা নরওয়ের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত। ১৯৮১ সালে রাশিয়ার সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধের সময়ই প্রথম এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েন করা হয়। স্নায়ুযুদ্ধের পর সেখানে গুহার মধ্যে সমরাস্ত্র রাখার খরচ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯০ সালে গুহায় সমরাস্ত্র রাখার ব্যবস্থা সচল রাখার খবর বহনের সিদ্ধান্ত নেয়।
নরওয়ের গুহার সমরাস্ত্র রাখার ব্যবস্থা সচল রাখতে ১০০-এর বেশি নরওয়ের কর্মচারী নিয়োজিত আছে। এখানে ১৫ হাজার মেরিন সেনা রাখার ব্যবস্থা আছে। এই গুহায় থাকা অনেক সমরাস্ত্র ইরাক যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি মাসের কোল্ড রেসপন্স ১৬ নামক সামরিক মহড়ায় ন্যাটোভুক্ত ১৬টি দেশ ও ১৬ হাজার সেনা অংশ নেবে। নরওয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই মহড়ায় গুহায় থাকা সাড়ে ছয় হাজার সমরাস্ত্র ব্যবহার করা হবে।