অস্ট্রেলিয়া-মালয়েশিয়ায় মাইগ্রেশনে সতর্কতার পরামর্শ
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করতে যান অনেকেই। বসবাস করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু এসব দেশে গিয়ে অসাবধানতায় দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন এদের বড় একটি অংশ।
বিপদ এড়াতে দালাল থেকে সাবধান থাকতে হবে সবার আগে। আর সব নিয়ম জেনে ও পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়েই ব্যবসা এবং বসবাসের জন্য মাইগ্রেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা।
পুঁজির নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য এখন অনেকেই বেছে নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও মালয়েশিয়াকে। ব্যবসা ছাড়াও এসব দেশে রয়েছে সর্বাধুনিক জীবনমান।
তবে দালালের সাহায্য না নিয়ে নিজেই মাইগ্রেশনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ (রাজু)।
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বিজনেস ও ইনভেস্টমেন্ট মাইগ্রেশন
বিজেনেস ও ইনভেস্টমেন্ট মাইগ্রেশন করে অল্প দিনে সহজেই অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
ড. রাজু জানান, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৫৫ বছর ও নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৬৫ বছর। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য। একক মালিকানা অথবা অংশীদার হয়েও বিজনেস ও ইনভেস্টমেন্ট মাইগ্রেশনের সুযোগ নেওয়া সম্ভব এ দুটি দেশে।
অস্ট্রেলিয়ায় বিজনেস মাইগ্রেশনের জন্য প্রয়োজন হবে ন্যূনতম আট লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। আর ইনভেস্টমেন্ট মাইগ্রেশনের জন্য অস্ট্রেলিয়ান ডলারে ২ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ও নিউজিল্যান্ডে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার নিজ কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট রাখতে হবে আগ্রহীকে।
এ আইনজীবী বলেন, এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে স্কিলড মাইগ্রেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি, অ্যাকাউন্টিং ও ফিন্যান্স, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং ও সেলসে রয়েছে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। তবে এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স, পিএইচডি বা এমবিএ সমমানের হতে হবে। এসবের পরেও আইইএলটিএস পরীক্ষায় ন্যূনতম স্কোর ওঠাতে হবে ৬ দশমিক ৫। বয়স পঁচিশের নিচে বা চল্লিশের ওপরে হলে স্কিলড মাইগ্রেশনের সুযোগ নেই। এ ভিসায় পরিবারকে নিয়ে বসবাসের সুযোগও পাওয়া যায় দ্রুত।
অনেকে এসব কিছু না জেনে আবেদনের যোগ্যতা ছাড়া বা বিনিয়োগের অঙ্ক না জেনেই প্রক্রিয়া শুরু করছেন। এতে মাঝপথে এসে থেমে যেতে হচ্ছে তাঁদের। বুঝে ওঠার আগেই কতিপয় এজেন্ট হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
মালয়েশিয়ার বিজনেস মাইগ্রেশন
মালয়েশিয়ায় এসডিএন ও বিএইচডি কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা নিলেও নাগরিকত্ব পাওয়া বেশ কঠিন। অথচ অনেকে না জেনেই এসব কোম্পানি খোলেন। এতে বিনিয়োগ নষ্ট হয়। আবার অনেকেই পড়াশোনা না থাকলেও বিজনেস ও প্রফেশনাল রেসিডেন্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করেন।
ড. রাজু বলেন, অথচ আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে শতভাগ বিদেশি শেয়ারেই এমপ্লয়মেন্ট পাস ভিসা নিয়ে সপরিবারে বসবাস, ব্যবসা ও চাকরির সুযোগ রয়েছে এ দেশটিতে। এ ক্ষেত্রে বড় সুবিধা হলো, কোনো মালয় নাগরিকের সুপারিশ প্রয়োজন হয় না। এমনকি অন্য কোনো সংস্থা থেকেও কোনো প্রত্যয়নপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার) প্রয়োজন হয় না। ব্যবসায়ী ভিসা নিলে মালয়েশিয়া থেকে পৃথিবীর ৭৩টি দেশে মাত্র ৩ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে রি-এক্সপোর্ট বিজনেস করা সম্ভব।
বিজনেস ও প্রফেশনাল রেসিডেন্স প্রোগ্রামের আওতায় আবেদন করতে হলে কমপক্ষে গ্র্যাজুয়েট হতে হবে। এ ক্ষেত্রে একবারে দুই বছরের ভিসা স্টিকার দেওয়া হয়। পরে তা নবায়ন করা যায়। আর পাঁচ বছর পর স্থায়ী নাগরিকত্বের আবেদনও করা সম্ভব বলে জানান এ আইনজীবী।
আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা পেতে পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত ও বিজনেস প্রোফাইল তৈরি করে নিতে হবে। পাসপোর্টের ফটোকপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ব্যাংকের বিবৃতি, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের চারটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আর স্থানীয় কমিশনার বা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে চারিত্রিক সনদ দিতে হবে।
সব কাগজ ঠিক থাকলে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় বলে জানান ড. রাজু।
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় বিজনেস ও ইনভেস্টমেন্ট মাইগ্রেশন করে বসবাসের জন্য করণীয় জানতে www.wwbmc.com -এ ওয়েবসাইটে লগইন করুন অথবা [email protected] এবং [email protected] মেইলে প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারেন বিস্তারিত।
এ ছাড়া +60143300639 মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। ফেসবুকে কোম্পানির আইডি WorldwideMigrationConsultantsLtd এবং ব্যক্তিগত আইডি Sheikh Salahuddin Ahmed Raju-তেও যোগাযোগ করতে পারেন।