জ্বালানি তেলের দাম কমলে খাদ্য সংকটও কমে
জ্বালানি তেলের দাম ১৮ মাস ধরেই কমছে। ২০১৪ সালের মাঝামাঝি জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ছিল ৮০ পাউন্ড। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এটি কমে দাঁড়িয়েছে ২০ পাউন্ডে। তেলের দামের এমন কমে যাওয়ায় হতাশ হয়েছে তেল উৎপাদনকারী সব দেশ। তবে এই কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকট অনেকাংশেই দূর হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তেলের দাম কমার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো খাদ্যের দামও কমে যাওয়া। খাদ্য উৎপাদন, পরিবহনসহ অনেক ক্ষেত্রেই জ্বালানি তেল ব্যবহার হয়। তাই জ্বালানি তেলের দাম কমলে এসব ক্ষেত্রের খরচও কমে।
ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বড় অর্থনীতির কিছু দেশ জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়া নিয়ে বেশ হৈচৈ করছে। কিন্তু দরিদ্র দেশগুলোতে এমন হৈচৈ নেই। বরং জ্বালানি তেলের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে দেশগুলোর খাদ্য উৎপাদনের খরচ কমেছে। কৃষিকাজের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে জ্বালানি তেল প্রয়োজন। আর কৃষিপণ্যের দাম অনেকাংশেই বাড়ায় পরিবহন। কিন্তু তেলে দাম কমলে পরিবহন খরচও কমে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বালানি তেলের দাম হ্রাস-বৃদ্ধির কারণে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ২০১১ সালে তৃতীয় বিশ্বের অনেকে দেশে যুদ্ধের কারণ হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে ২০০৭-০৮ সালে জ্বালানি তেলের মূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।
ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাবারের চেয়ে জ্বালানি তেলের প্রভাব কয়েকগুণ বেশি। আর কৃষি খাত অনেক বিষয়ের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। তবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষিকাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূল্য বেড়ে যাবে এটি নিশ্চিত। যে কারণে খাবারের মূল্যও বাড়বে।