ছয় বাংলাদেশিকে নৌপথে ফেরত পাঠাল অস্ট্রেলিয়া
মাছ ধরার নৌযানে অস্ট্রেলিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করার পর ছয় বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার এক কর্মকর্তা বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ছয়জনকে ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপে অস্ট্রেলিয়ার সমালোচনা করেছে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অস্ট্রেলিয়ার বিতর্কিত নীতির বিরোধিতা করেছে দেশটি।
গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার কুপাং শহর থেকে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যান ছয় বাংলাদেশি ও দুজন ইন্দোনেশীয় ক্রু।
ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় পুলিশপ্রধান টেডি জন সাহালা মারবুন বলেন, তিন দিন পর তাঁরা অস্ট্রেলিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করে এবং এরপর নৌযানের ইঞ্জিনে সমস্যা হয়। অস্ট্রেলিয়ার সীমান্তরক্ষীরা তাঁদের উদ্ধার করে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার জাহাজে করে কয়েক দিন ভ্রমণের পর ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করে দেশটির মাছ ধরার একটি নৌকায় তাদের ফেরত পাঠানো হয়।’
অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ তাঁদের জ্বালানি ও বিভিন্ন দ্রব্য দেয় এবং তাঁদের ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব নুসা টেঙ্গারা অঞ্চলে চলে যেতে বলে। তবে দুজন ক্রুকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ আনা হতে পারে এবং এ জন্য সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ জানায়, নৌযানের ক্যাপ্টেন ইসাই রানো স্বীকার করেছেন, ছয় বাংলাদেশিকে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁকে নয় কোটি ২০ লাখ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া (৭০০০ মার্কিন ডলার) দেওয়া হয়।
ছয় বাংলাদেশি কীভাবে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করলেন, তা জানতে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে অভিবাসন কর্মকর্তারা। পুলিশ কর্মকর্তা মারবুন বলেন, ‘তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আমাদের হচ্ছে, কারণ তাঁরা ইংরেজি ভাষায় প্রায় কথা বলতেই পারে না।’
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরমানাথা নাসির বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড (ফেরত পাঠানো) সমর্থন করি না। এটা ভয়াবহ হতে পারে।’ তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসন বন্ধে এটা কোনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।