পথ দেখাবেন সু চি, প্রেসিডেন্ট হবেন গাড়িচালক!
সাংবিধানিক বাধায় মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না অং সান সু চি। তাঁর দল ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দুজনকে মনোনয়ন দিয়েছে। এর মধ্যে এগিয়ে আছেন সু চির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেনারেল থুরা চিয়াও তিন। চিয়াও সু চির সাবেক গাড়িচালক।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এই মনোনয়নের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হলো এনএলডির নেতা অং সান সু চি দেশটির প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন না। তবে এর আগে সু চি বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্টের ‘ঊর্ধ্বে’ থাকবেন।
বিবিসির নেপিদোর প্রতিনিধি জোনাহ ফিশার জানান, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য শেষ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন সু চি। বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েও এ ক্ষেত্রে দেশটির সেনা সমর্থন পাননি তিনি। তবে চিয়াও-এর মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হওয়াটা এখন অনেকটাই নিশ্চিত।
সু চির দুই ছেলে আলেক্সান্দার ও কিম উভয়ই এখনো ব্রিটিশ নাগরিক। আর সু চি নিজেও উভয় দেশের নাগরিক হিসেবে সুবিধা নিচ্ছেন। এ কারণে মিয়ানমারের সংবিধানের ৫৯এফ ধারার বাধ্যবাধকতার কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না তিনি।
অক্সফোর্ড ডিগ্রিধারী চিয়াওকে বহুদিন ধরে জানেন সু চি। আর ২০১০ সালে তাঁকে গৃহবন্দি করা হলে চিয়াও সব সময় তাঁর পাশে ছিলেন। এ ছাড়া চিয়াও এনএলডির একনিষ্ঠ কর্মী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অং সান সু চি পদে না থাকলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনিই সবকিছু দেখাশোনা করবেন। আর নির্দেশ মান্য করার বিশেষ গুণ চিয়াওর মধ্যে রয়েছে।
মিয়ানমারে ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অং সাং সু চির নেতৃত্বাধীন দল এনএলডি ৮০ শতাংশ আসনে জয়লাভ করে। তবে ওই নির্বাচনে সামরিক জান্তারা এক-চতুর্থাংশ আসন দখল করে। ফলে দেশটির সংবিধান অনুযায়ী তারাও দেশটির সংসদে গুরুত্ব পাচ্ছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন চলতি মাস (মার্চ) শেষে ক্ষমতা থেকে সরবেন।
১৫ বছর ধরে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক নেতা বলে খ্যাত সু চি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে না পারলেও এখন চিয়াওর মাধ্যমে নিজের প্রভাব ধরে রাখতে চেষ্টা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।